সহস্র  বিপ্লবীদের রক্তে রাঙানো  আমার ভারতবর্ষ,
একসাথে হাতে হাত রেখে জাতি, ধর্ম , বর্ণ সব কিছু ভুলে একত্রে পথ চলতে শিখিয়েছে  আমার ভারতবর্ষ।
আমার ভারতবর্ষে  প্রতিটি মানুষের কণ্ঠে কণ্ঠে
ভরে উঠে প্রতিটি ভারতবাসী  আমার ভাই, আমার বোন,  আমার সহৃদয়।


আজকে শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে  ভাবতে অবাক লাগে,
ইতিহাসের পাতা গুলি  কি সবকিছু ভুল ছিল?
ইতিহাসের পাতায় দেখেছি বিপ্লবীদের
রক্তের জয়যাত্রা।
ওই বিপ্লবীরা, নিজের প্রাণটা মৃত্যুর মুখে রেখে,
বিষাক্ত  ব্রিটিশ শোষণের হাত থেকে ছিনিয়ে  নিয়েছে  আমার ভারতবর্ষ কে ।
আমার ভারতবর্ষ কে স্বাধীন  করে নতুন ভারতবর্ষে নতুন ভোরের  উপহার  দিয়েছে সমস্ত অসহায়  ভারতবাসীকে।
আমার ভারতবর্ষে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিল,
তারা কেউ ছিল হিন্দু, কেউ মুসলিম, কেউবা শিখ, ছিল প্রতিটি ভারতবাসী,আর  ভারতবাসীর  চোখের কান্না ।
তারা ভুলে গিয়েছিল জাতি ধর্ম বর্ণ, সবশেষে এক হয়ে স্বাধীনতা  এনেছিল এই পরাধীন  ভারতে।


আজকের ভারতবর্ষ কে যারা নতুন করে কলুষিত  করছে নীজের সাম্রাজ্য বিস্তারের জন্য,
বারে বারে মনে করিয়ে দিচ্ছে আমার ভারতবর্ষে হাজারো ধর্ম এবং বর্ণের বাস।
মহাত্মা, নেতাজি, কালাম এরাতো চাইনি
এমন একটা ভারতবর্ষ,
যেখানে রাজনীতি নামে চলছে ধর্মবিদ্বেষের  কাজ, আর অসহিষ্ণুর ভাষা।
ভেঙে দিচ্ছে মানুষের মধ্যে থাকা অটুট  বন্ধুত্ব,
ঘটিয়ে চলেছে মানুষের মস্তিষ্কের বিকৃতি,
মানুষকে জ্ঞান শূন্য করে লেলিয়ে দিচ্ছে
সাম্প্রদায়িক  দাঙ্গায় ।


হে ভারতবাসী  এবার জেগে ওঠো ,  
মনের মধ্যে গেঁথে থাকা আপন  ধর্ম থাক আপন যায়গায় আপন মন্দির, মসজিদে।
মনুষ্যত্ব  নিয়ে বেঁচে  থাক ভারতের বুকে, মানুষ কে  ভালবাসার গান বলো,  পৌঁছে  দাও শান্তির বার্তা।
এসো সবাই মিলে একসাথে গাহি সাম্যের গান।


২০/০৩/২০১৭, ৯।১১ pm.