যখন আমি লজ্জার দিকে
চেয়ে থাকি ,আমার ভয় হয়।
যদি লজ্জা আমায় ধরে ফেলে
বা স্পর্শ করে  যায়,কাছে চলে আসে ।
তাহলে সমাজ আমাকে
ছেড়ে কথা বলবে না,
তাদের কাছে প্রতিটা পদক্ষেপে
আমাকে জবাবদিহি  করতে হবে।
যারা আমাকে বিশ্বাস করে শীর্ষস্থানে বসিয়েছে।


আমি সে লজ্জার কথা বলছি  না,
দুজন প্রাণের বন্ধু ভালবেসে
দুজন দুজনকে গান্ডু বলে ডাকে।
আমি সেই লজ্জার কথা বলছি,
যে লজ্জা সমাজের অন্তরালে ঘটে থাকে।
মুখোশের আড়ালে ঘটে যাওয়া  লজ্জা,
সমাজকে অন্ধকারে মধ্যে টেলে ফেলে দেয়,
যে লজ্জা আমরা দেখেও দেখতে পাইনা।
আমি সেই লজ্জার কথা বলছি।


যে মেয়েটি গর্ভধারিণী  মা হতে পারেনি,
প্রতি রাতে স্বপ্ন দেখে,
এক ফুটফুটে মেয়ে মা বলে  ডাকছে।
সে মেয়েটি যখন কোনো
ভন্ড সাধু চরণে মাথা নত করে।
            কিম্বা,
সে মেয়েটি কোনো ভন্ড পীরের
পাল্লাই সমস্ত কিছু হারিয়ে ফেলে।
আমার ভয় সে লজ্জা
যদি আমাকে তেড়ে আসে।


ফাঁকা বাসের মধ্যে অসহায়
যুবতী  কে একা পেয়ে,
পিশাচগুলির মনে যৌবনের,
লালসা ক্ষরণ হয়, তারপর
কলঙ্কিত  করে রাস্তায় ফেলে দেয়।
            কিম্বা,
অসাহায় প্রেমিকের সামনে তার প্রেমিকার
যৌবনের দিকে  লাফিয়ে  পড়ে।
বৃদ্ধা মায়ের সামনে
রাস্তার মুড়ে অকথ্য ভাষায়
সম্বোধন করে,
আমার ভয় হয় এই লজ্জা
যদি  আমার সঙ্গে হয়।


আমি সেই মন্ত্রী, নেতাদের কথা বলবো,
যারা দেশের সুখ-কল্যাণের জন্য দায়বদ্ধ।
তারা বেকার যুবকে চাকরি প্রহসন দেখিয়ে
লক্ষকোটির ব্যবসা  করছে।
বোনের বিয়ের গোছানো সমস্ত টাকা,  
চাকরির খোঁজে বেকার যুবক
তুলে দেয় তাদের হাতে।
       কিম্বা,
বেকার যুবতী  কাজ দেওয়ার নামে
মৃত্যুকক্ষে ঠেলে ফেলে দেয়।
আমি সেই লজ্জার কথাই বলছি।

এই লজ্জা আমার সমাজে ,
মেঘের মতো ছেয়ে গেছে।
এই লজ্জা চোখের সামনে ;
হাতছানি দিচ্ছে।
আমি নিজেকেএই লজ্জা
থেকে বাঁচতে চাই।
বাঁচাতে চাই সমাজকে,
চাই লজ্জামুক্ত সমাজ।