আর তাকে গ্রামের রাস্তার মধ্যে হাঁক দিতে দেখিনা, লজেন্স, চানাচুর, বাদাম, কটকটি।
হয়তো অবসন্ন হয়ে সাময়িক  নীরবতা পালন করছে আমাদের (গ্রামের)সবার প্রিয় মনোজ।


ছোটবেলায় পথ পানে চেয়ে থাকতাম,
কখন যাবে  মনোজ আমার বাড়ির সামনে দিয়ে,
তার একটি হাঁকে, একদৌড়ে ছুটে যেতাম একটাকার  এক প্যাকেট  লাল লজেন্স  কিনতে।
সে যখন রাস্তার এককোণে  দাঁড়িয়ে হাতে থালা বাঁজিয়ে গানের সুর ধরতো  পাড়ার সকল ছেলেরা একত্রে জমা হতাম।
তার গান, থালা থেকে সৃষ্ট  প্রতিধ্বনি  আজও  হৃদয়ের মধ্যে দোলা দেয়।


আজ তার কথা ভাবলে তার প্রতি শ্রদ্ধা জাগে,
এই ভেবে, একটি বাঁশের লাঠি হাতে নিয়ে অন্ধ রোগা লোকটি গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়াতো।
অপূর্ণতা থাকার পরেও সে ভিক্ষার পথ বেছে  নেইনি।
পরিবারের মুখে দুইবেলা খাবার তুলে দেবার জন্য,
মানুষ হয়ে নিজেকে সংগ্রামী  করে তুলেছে।
তার জীবনে লড়াই যেন প্রতিটি প্রতিবন্ধী  কে প্রদান করে।
আর প্রতিটি প্রতিবন্ধী  যেন এক একটা মনোজ  হয়ে উঠে।


(বিঃদ্রঃ- আমাদের গ্রামে আরেক জন মনোজ আছে গ্রামে গ্রামে গিয়ে লজেন্স,  চানাচুর বিক্রি  করে সংসার চালাই
না ম - ক্ষুদি(আসগার আলি). এই সব ব্যক্তি  যারা ভিক্ষা পথ না নিয়ে নিজেকে মানুষ  হয়ে তুলে ধরেছেন তাদের কে শ্রদ্ধা, ভালবাসা জানায়। )  


সময়-বেলা ১১টা ২৬ AM, তং- ৩১/০১/২০১৭