একশো টা বছর পরের  একটা কাল্পনিক শহরের উদ্ভাবন করছি মনের অন্তরে।
যে শহরের বুকে ভরে উঠেছে  বড়বড়  অট্টালিকার স্তুপ, কলকারখানার মেঘ।
শহরের বুকে সবুজের মৃত্যু ঘটেছে, বাতাসের আর্দ্রতা তীক্ষ্ণ।
কারখানা থেকে অনবরত  নির্গত  ধোঁয়ায় আকাশ ছেয়ে গেছে ঘন কুয়াশায়।
এমন একটা শহরের বুকে তখনো চলছে  বিজ্ঞানের গবেষণা, আর মানুষকে বাঁচার আশ্বাসের প্রতিশ্রুতি।


শহরের অলিগলিতে মানুষের মৃত্যুর মিছিল,
অনিলে অনিলে ভরে উঠেছে মৃত মানুষের গন্ধ।
শত শত মৃত মানুষের  দেহ পড়ে আছে  রাস্তায়।
শকুনের দল আছড়ে পড়ছে গন্ধে ভরা লাশে,
আহ্লাদে মাংস গুলি ছিঁড়ে ছিঁড়ে  গ্রাস করছে  , অবশেষে তাদেরও মৃত্যু  ঘটছে।


অন্ধকার  শহরে আলোর খোঁজে উন্মত্ত মানব,
স্নেহ, মায়া, ভালবাসার গান ভুলে নিজেকে বাঁচানোর  প্র‍য়াস।
প্রগাঢ় বায়ুর অন্বেষণে ইশ্বরের সঙ্গে তখনো  চুক্তির প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠছে মৃতপ্রায় মানুষের ছেহেরায়।
বেঁচে থাকার প্রবল  মোহে অন্ধকার  শহরের বুকে গড়ে উঠা অট্টালিকা থেকে বেড়িয়ে পড়েছে হাজারো মানুষ  রাস্তায়।
ল্যাম্পপোস্টের মিটিমিটি আলোয়, স্পষ্ট দেখতে পাওয়া  যাচ্ছে , ধেয়ে আসছে মৃত মানুষদের, পিছু ফেলে আলোর সন্ধানে, মৃতপ্রায়  মানুষের মিছিল।


শহরের প্রতিটি রাস্তায় মানুষের ভীড়, বিজ্ঞান হার মেনেছে বাঁচানোর প্রয়াস।
শহর থমকে দাঁড়িয়েছে, মিছিল থেকে ঝরে  পড়ছে মানুষের লাশ বৃষ্টি।
শহর হাসছে মানুষের দুঃখে,গন্ধে ভরে উঠা শহরটা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে নিজের কাছ থেকে।
শহরের পৃষ্ঠে হানা দিয়েছে অ্যাসিড বৃষ্টি ,
শহরের ঘটে যাওয়া অ্যাসিড বৃষ্টির বন্যায়
শহরের মৃত্যু , একটি কাল্পনিক  শহরের মৃত্যু।


রচনাকাল-০৯/০৮/ ২০১৭