কবিতার জ্বর, তার হলুদ আলোর মতো ত্বকে
লাবণ্য মিইয়ে আসে, তার স্বর ক্ষীণ হয়ে আসে।
শিয়রে বসেনা কেউ, কবিতার নৈ:সঙ্গ বিষম।
কবিতা, কবিতা, তুমি শয্যা ছেড়ে ওঠো, যাও,
দেখ, বাইরে কি উজ্জ্বল দুপুর!
বাতাসে রৌদ্রের হলকা দুলে ওঠে চেতনার মতো।
শয্যা ছেড়ে ওঠো, যাও,
অলিন্দ পেরিয়ে যাও চৈতালি ঘূর্ণির অভিমুখে।
উঠোনে সোনালি ধানে গলে পড়া রোদ্দুরের সাথে
আগামীর স্বপ্ন হয়ে যাও;
কবিতা, আবার তুমি বারান্দায় বসে সেই স্বরে
উঠোনে ছড়ানো ধান খুঁটে খাওয়া চড়ুই তাড়াও।