রাস্তার ধারে পরিত্যক্ত নোংড়া দুর্গন্ধময়,
আবর্জনাযুক্ত অন্ধকার। 
পার্শ্বে ময়লার স্তূপ, জনাকীর্ণ একটুু স্থানে
থাকার আস্তানা তার।


হতভাগ্য এই চির বঞ্চিতদের এখানেই জন্ম,
এখানেই বেড়ে উঠা তার।
প্রতিনিয়ত ক্ষুধার কষ্ট, জীবনের
অবিচ্ছেদ্য অলংকার।


অভাব অনটন, না পাওয়ার বেদনা
সর্বক্ষণ তাদের পিছে।
জীবনের একটি দিনেও কভু শান্তি জুটেনি,
সবকিছু যেন তাদের মিছে।


হাঁটি হাঁটি পা পা তখন থেকেই খাদ্য
করে অন্বেষণ।
ডাস্ট বিনে, আনাচে-কানাচে ফেলে দেওয়া
খাদ্যের প্রতি দৃষ্টি করে জ্ঞাপন।


শুধু বাঁচার তাগিদে সমস্ত
চেষ্টা ও শ্রম তার।
একটু খাবার পেলে মুখের হাসি-আনন্দ
কমে না যেন তার।


পড়নে এক টুকরো ছিন্ন বস্ত্র, সারা শরীর
তার ফাঁকা।
কোথাও না আছে কাপড়, শুধু লজ্জার
স্থান টুকু ঢাকা।


অসুখ হলে ভাগ্যে জুটে না এদের
একটু সেবা, আদরের পরশ।
অযত্ন-অবহেলা পরে থাকে ঔষধপত্র ছাড়া,
পাপে কাঁপে আল্লহর আরশ।


দেখলে কখনো মনে হয় না,
এরা মানুষ জাতির সন্তান।
চিড়িয়াখানা রয়েছে পশু পাখি
এদের চেয়ে অধিক যত্নবান।


অন্ধকারে বেড়ে উঠা জীবন এদের,
ছড়াবে অন্ধকার বিপর্যয় করবে পরিবেশ।
আলোর জগৎ পেলে এরা হবে সভ্যজাতি
গড়বে সোনালী বাংলাদেশ।


( ৩০শে জুন ২০২০)