হিমেল হাওয়া কনকনে ঠান্ডা কৈশোর শৈশব
যৌবন গেলো শীতের এখন বার্ধক্যের পালা।
আসতেছে ধেয়ে ফাল্গুন, চলে-
যেতে হবে তার, মনেতে কষ্টের তীব্র জ্বালা।


ক্ষণিকের সময়টুকু শীতের যেন
খুবই উপহাসের বিষয়, যদি সুদীর্ঘ হতো।
তান্ডবলীলা ভেস্তে তোলে দুর্বল অসহায়
নিষ্ক্রীয় জীবন চায়না কভূ মাথায় নিতো।


কোকিলের মন মাতানো প্রাণমুগ্ধকর
ডাক কভূ মনেতে সৃষ্টি করচ্ছেনা আবেদন।
সে তার ঐতিহ্যে মৃত্যুর পদচিহ্ন রচনা
করে কখনো করতে চাচ্ছেনা বসন্ত বরণ।


বিদায়ের ক্রান্তিলগ্নে মুমূর্ষু অন্তর তার
খুব ভারী-ভারাক্রান্ত।
আসতেছে ফাল্গুন ছেড়ে দিতে হবে স্থান,
যাহা খুবই জ্বালাময় কঠিন বিপর্যয় তিক্ত।


ফাল্গুন এসেছে এ বসুন্ধরায় উদ্ভাসিত
করে চারিপাশ।
অগ্রীম বার্তা মুখরিত করচ্ছে উত্তরী হাওয়া
কোকিলের ডাক, প্রকৃতির নতুনত্ব সুবিন্যাস।


ফাল্গুনী হাওয়া কোকিলের ডাক চুপি
চুপি বলছে এখন তোমার বিদায়ের পালা।
পলাশ শিমুল কৃষ্ণচূড়া রাঙাবো আকাশ,
জরাকীর্ণতা মুছে পড়াব নতুনত্বের মালা।


বিষন্ন মনে ধীর গতিতে শীতের হলো প্রস্থান,
নেই কোন আর যেন তার বিন্দু পরিমাণ প্রভাব।
ফাল্গুন পেলো বসন্তের আশীর্বাদ, আপন মনে
উদ্ভাসিত করল যেন বৈচিত্র্যতার আবির্ভাব।