অমাবস্যাতিথি ঝিরঝির জোনাকির-
ডাক, অস্থির মন শুধু  অসহনীয় যন্ত্রণা।
প্রীতিমুগ্ধ তার স্মৃতির বিরহ-
বিষম-জ্বালা আরতো প্রাণে যেন সহে-না।


রাত্র যতো হয় গভীর শূণ্যতার পরিপূর্ণতা
করে দখল, তাণ্ডব চালায় বুকের ভিতর।
তবুও ক্ষণেক্ষণে প্রতিক্ষণে পূর্ণিমার এক
থালা পূর্ণচাঁদ ছড়ায় আলো মনের উপর।


বিলীন হয় আপন সত্তা, অন্তর ভাসতে -
থাকে কল্পনার স্নিগ্ধ বিমোহিত তপ্ত ভূবনে।
মনের হলো যেন পুণঃবিন্যাস, বেধেছে বাসা
তার সুখের পরশ, এ বিমোহিত স্নিগ্ধ মননে।


পরক্ষণে আবার স্মৃতির বিভোরতা কেটে-
আসে পরিচ্ছন্নতা, মন করে শুধু হাহাকার।
অমাবস্যাতিথি জ্যোৎস্নার আলো দিল ঢাকা,
হৃদয় ভূবন হলো শুধু বিদঘুটে অন্ধকার।


হঠাৎ ঝড়োবেগে আবার আকস্মিক ভাবে-
অন্তর কাঁপানো উল্লাসে ঘটে তার আবির্ভাব।
ডেফোডিল ফুলের মতো পরক্ষণে যায় সে
মিলিয়ে, আনন্দ উল্লাসিত দিনগুলির প্রভাব।


কখনো স্মৃতির মিষ্টি মধুর হাতছানি, কখনো
বিস্মৃিতির কড়াল গ্রাস কখনো রূঢ়বাস্তবতা।
রৌদ্র-ছায়ার মেলায়, খেলছে নিষ্ঠুর স্তব্ধতার
উলঙ্গ খেলা, হৃদয় পুড়ে করে ভস্মীত-দগ্ধতা।


ক্ষণিকের দু'দন্ড ভালোবাসার উষ্ণ আলিঙ্গন,
অপ্রতুল বিরামহীন দগ্ধ-বঞ্চনার অগ্রদূত।
তার সম্মূখ গতির চেয়ে দিকাভিমুখী গতির-
সঞ্চালনের প্রবণতা টানে যেন পশ্চাৎমুখ।


জানুয়ারি ০৪, ২০২২ খ্রিঃ