দারিদ্র্যোর তীব্র কষাঘাত,
খুবই অভাব অনটনের সংসার।
হাড়ভাঙা খাটুনি ক্ষুধার্ত অনাহারী পেট,
হাত পেতে পাওয়া একটুকু ভালো খাবার।


মরণ কামড় ক্ষুধার জ্বালা উপেক্ষা
করে, পেটে দিলো শুধু একটুখানি পানি।
হীরের টুকরো খাবারটুকু রেখেদিলো কলিজার
টুকরো সোনামণিদের পরিতৃপ্ত করতে অন্তরখানি।


ক্ষুধায় চো চো করে পেট, পূর্ণিমার
আলো যেন সমূদ্রের তপ্ত নোনা জলরাশি।
পিতৃত্বে দুষ্প্রাপ্য দুর্লভ ভালোবাসার অনুভূতি,
রাতজাগা সুদীর্ঘ কর্ম, অবহেলিত ভাগ্যরাশি।


ডাস্টবিনে কুঁড়িয়ে পাওয়া যেন জীবন
এদের, ক্ষুধা নিবারণে কাটে শুধু সময়।
সুখের স্বপ্ন যেন অবাঞ্ছিত দুরাশা বারবার
করে অভ্রুক্ষেপিত-তিরস্কার জীবন বিষাদময়।


ভাগ্যবিলম্বিত কালোরাশি এতো বেশী
করেছে আচ্ছন্ন যেন শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি।
বাঁচার তাগিদে যন্ত্রকলে হচ্ছে পরিণত, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা যেন বৃথাই শুধু পরিহাসের মূলভিত্তি।


প্রতিকূল পরিস্থিতির রোষানলে জীবন
জর্জরিত তবুও পিতৃত্বের নেই একটু কমতি।
জীবনের চাওয়া পাওয়া তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে
সন্তানের একটু শান্তির নিবাস হৃদয়ের কাকুতি।


পিতৃস্নেহের কাছে মৃত্যুদূতও অতিতুচ্ছ-তাচ্ছিল্য,
বায়না শুধু সন্তানের মুখে একটু নির্মল হাসি।
অর্পিত কৃত্রিম পরিস্থিতি রাহুর মতো সমস্ত
স্বাদ-আহ্লাদ করেছে গ্রাস খুুবই দুর্বিষহ হৃদয়গ্রাসী।


জানু ২১, ২০২২ খ্রিঃ