কখন আমি তোমায় ছেড়ে নেশার ঘোরে মগ্ন হলাম
কখন আমি তোমার চুলের অন্ধকারে হারিয়ে গেলাম ধ্বংস হলাম
কখন তুমি জ্বেলেছো আগুন বুকের প্রাসাদ পণ্ডু করে
কখন তুমি স্বপ্নগুলো ভেঙে দিলে আদর করে
কখন তুমি এমন হলে
কখন তুমি স্নান করো বৃষ্টি জলে
কখন তুমি রোদ পোহাও কড়া তাপে আমায় ভুলে
কখন তুমি শান্ত এবং জ্বলতে থাকো করুণ প্রেমে
কখন তুমি হাঁটতে থাকো কাউকে নিয়ে
কখন তুমি হাসতে পারো কাঁদতে পারো সৃষ্টি দেখে
কখন তোমার মনে আসে এই অভাগা নেত্রকোনা ভরিয়ে দিতে
কখন তোমার শরীর বেয়ে রক্ত ঝরে অমানবিক নির্যাতনে
কখন তুমি প্রস্ফুটিত গোলাপ হলে মৃতদেহের জৈবসারে
কখন তুমি ভালোবাস এই আমারে
কখন তুমি নিষ্ঠুরতার উপমা হলে হিংস্র নারী
কখন আমি পথ হলাম চরণতলে তোমার লাগি
কখন তুমি সুর তুলেছো গান করেছো আমার লাগি
কখন কবি কষ্ট এবং সুখ নিয়ে কবিতা লিখে তোমার লাগি
কখন তুমি কিশোরী থেকে নারী হলে
কখন তুমি ভূগোলবেশে বাংলা হলে
কখন তুমি প্রেমে পড়ো কৃষকের ওই সোনালি ফলে
কখন তুমি গিটার কর্ডে বাজনা হলে
জাতীয় সংগীতের মায়াবী সুরে
কখন তোমার হাত পড়েছে আমার হাতে
কেমন করে পড়লে প্রেমে এই ফাগুনে
কখন তুমি জন্ম দিলে পুত্র শিশু
কেমন করে ’৭১-এ বুলেটের বাজনা শুরু
হেলাল হাফিজ কবিতা লিখে হারামজাদি তোমার লাগি
কেমন করে কাজী নজরুল লোহার ঘরে বিদ্রোহ করে সবার লাগি
কেমন করে মুন্নি সাহা যদি দিয়ে প্রশ্ন করে
কেমন করে অনিক খান রেডিওতে কথা বলে
কেমন করে সুমি শূন্য হৃদয় তারে সুর তুলে
নির্মলেন্দু ভালোবেসে এক ইঞ্চি জায়গা দিয়েছে তোমার নামে বইয়ের খামে
এলিটা তোমার গানের লাগি এই কবিতা
কেমন করে আমায় ছেড়ে চলে গেলে
হে প্রেয়সী ভালোবাসি
এখনো ভালোবাসি
কখন তুমি এমন হলে।