নীল মুক্তোর খোঁজে পথে পথে ঘুরিয়াছি আমি। সন্যাসীর বেসে পথ আগলে ধরে হাঁটিয়াছি আমি। কাঁধে ভিক্ষুকের ঝোলা নিয়ে পারি দিয়েছি তেপান্তর। মাঠের পর মাঠ হাঁটিয়াছি।  দরুন পিপাসাই নদীর জলে তৃষ্ণা মিটাইয়েছি। ক্লান্তী লগ্নে বটবৃক্ষের কোলে বসিয়া জুরাইছি মাটির দেহখানি।


হাহাকারে জরাজীর্ণ হইয়া কাটিয়াছি রাত পথে ঘাটে। তবুও খোঁজ মেলে নাই নীল মুক্তোর।


একতারা হাঁতে গলা ছারিয়া গান গাওয়া বাউলের পিছু নিয়েছি তার কাছে প্রাণ জুরানো গান ছারা কিছুই পাই নাই।


সাহায্যপ্রত্যাশী ভিক্ষুকের সাথে হাঁটিয়াছি তব পথ,, পাই নাই পাই নাই নীল মুক্তোর খোঁজ।


নদীর ঘাটে নৌকার মাঝির সাথে নৌকায় পারি জমিয়েছি যমুনার বুকে। পাই নাই তবু পাই নাই নীল মুক্তোর খোঁজ।


পরন্ত দুপুরে করিমদ্দীর বারিতে হাজির হইয়াছি দেখিয়াছি করিমদ্দীর বউ পিটানোর রুক্ষ মেজাজ। পাই নাই তবু পাই নাই নীল মুক্তোর খোঁজ।


সিঁধেল চোরের কাছে দুদন্ড গল্প সেধেছি পাইয়াছি চুরি বিদ্যা। তবু পাই নাই নীল মুক্তোর খোঁজ।


বাংলা মোদের আখরায় গিয়াছি, মোদ খেকো মাতালের সাথে খানিক গল্প সেধেছি পাইয়াছি একখানা মোদের বোতল। পাই নাই পাই নাই নীল মুক্তোর খোঁজ।


বংশীবাদকের বাঁশির সুরে মাতাল হলাম তবক্ষনে,, নাহ্ শুধু সুর পেলাম। পেলাম না নীল মুক্ত।


সন্ধ্যা লগনে কুসুমের মায়ের কুঁড়ে ঘরে হাজির হইয়াছি দু দন্ড গুড়  আর মুড়ি জুটিয়াছিল কপালে। পাই নাই পাই নাই নীল মুক্তোর খোঁজ।


মকবুল মিয়ার পথ আগলিয়ে গিয়াছি তাহার বারি ভোজন সেরেছি সরষে ইলিশে মোটা চালের ভাতে। পানের ডালার সাজানো পান মুখে পুরেছি তৃপ্তির ঢেকুর তুলে। নাহ্ পেলাম না পেলাম না নীল মুক্তোর খোঁজ।


কনকনে কুয়াশা কেটে মিষ্টি রোদের মাঝে গিয়াছি কৃষকের ক্ষেতে,,, কাজের ফাঁকে দেখিয়াছি রোস্তম চাষাকে তারি খেকোর বেসে। নাহ্ পাই নাই পাই নাই নীল মুক্তোর খোঁজ।


রৌদ্রস্নাত রোদের মাঝে রৌদ্রসেবন করে হাঁটিতেছিলাম কোন পুকুর পারে। দৃষ্টি গেল শ্যাম বর্নের কোলসী হাতে শাড়ী পরিহিতার দিকে।


লাজুক হাঁসির মাঝে তাহার অঙ্গে উঠিলো ঢেউ চোখের মাঝে দেখতে পেলাম মূল্যবান নীল মুক্তোর খোঁজ।


পিছু হাঁটিলাম তাহার পথে খানিক ডেকে বলিলাম শোন তবে মাতাল হইয়াছি তোমার প্রেমে তোমার চোখে নীল মুক্তোর টানে।


হাতটি তাহার ধরিলাম বটে লাজুক চোখের চাহনিতে,,, মুগ্ধতার বেশে লহিলাম তাহার নীল মুক্ত আপন করে।


খুঁজে পেলাম অবশেষে তবে নীলমুক্ত।