কিশোরী ১৪০০ সাল, ধাপে ধাপে এগিয়ে চলেছে
তারুণ্যের নেশাতে।
অলীক স্বপ্ন চোখে নিয়ে
পুরাতন স্মৃতিগুলিকে রোমন্থন করতে করতে
নতুন প্রভাতের প্রত্যাশায়
তোমার দোর গড়ায় বিরাজমান।
তোমার অভিবাদন আর অভিনন্দনের
আশায় উদগ্রীব।
কি দেবে তুমি ওকে!
এক রাশ রঙ বে-রঙের ফুলের তোড়া!
না, ব্যাস্ততাময় ঠুনকো আন্তরিকতা?
আভিজাত্যের সিঁড়ি চড়তে চড়তে
সুগন্ধতিত, ঝলমলে নতুন পোশাকটা দুলিয়ে,
রাস্তার হাড় জিল জিলে, ফ্যাল-ফ্যালে চোখ গুলিকে
রঙিন চশমার ফাঁক দিয়ে, অবঞ্জার বাঁকা দৃষ্টি ফেলে,
তোষামুদে ট্যালেন্টের চোরা পকেট থেকে
একটা কর করে নোট ছুড়ে দিয়ে,
অনবদ্য ভঙ্গিতে মুঠোফোনটা কানে চেপে নিয়ে,
হিল তোলা জুতার খটা-খট শব্দে,
সূর্যের প্রখরতাকে বিদ্রুপ করে,
চারচাকা গাড়ীর দরজাটা আলত করে খুলবে।
তোমার অজান্তে,প্রদুষনের অদৃশ্য ধোঁয়ায়
ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া ঠোটটা, গাড়ীর আয়নায়
আর একবার লিপষ্টিকে লাল করে নেবে।
জানি, মন্দিরে-মসজিদে-চার্চে, আজ তোমার
আভিজাত্যময় অনুদানের "প্রসংশা পত্র"ঝোলানো হবে।
মনে মনে উত্সাহিত হয়েও,চেহারাতে গম্ভীরতা প্রকাশ করবে।
পারবে কি আজ তুমি প্রাণখুলে হাসতে!
এই উন্মুক্ত বাতাসে!
হেসেছিল তারা সেদিন, যারা আজ অতীত
তোমার বাংলো বাড়ীর চিত্রপটে।
জানি, আজ তুমি নাববে না উপরের সিঁড়ি থেকে।
তবুও সবিনয় অনুরোধ,
পারো যদি, একটা করে সজীব চারা গাছ রোপে দিও, তোমার বাড়ীর আনাচে-কানাচে,
আজি এ নব প্রভাতে-
কিশোরীর আগামী প্রোজ্জ্বল তারুণ্যের খুশিতে।