কবিতাঃ- আলোটা নিভিয়ে দাও
✍️ মনোজ ভৌমিক


আলোটা নিভিয়ে দাও...
প্রগাঢ় অন্ধকার নেমে আসুক
পৃথিবীর বুকে।
যে অন্ধকারে মহানগরী ডুবেছিল সেদিন....নীরবে-নিভৃতে।
আমিও ঘুমিয়ে যেতে চাই এ
ধরনীর কোলে।
এই অন্তঃসারশূন্য কৃত্রিম আলো...আর ভালোলাগে না যে!


দিগন্তের সজীবতা, এ ধরিত্রীর ধূসরতায়
আবৃত হয়েছে,
বড় বড় অট্টালিকা আকাশ ছূঁয়েছে!
পশু-পাখী, নদী-নালা দীর্ঘশ্বাসে বিলীন হতে চলেছে!!
মানুষের চাওয়া যেন আজ বদলে গিয়েছে!
"চাই" "চাই" বাই তারে অন্ধ করেছে!!
"আমার" "আমার" শব্দে
বাল-বৃদ্ধ-বনিতা নাচছে!
কোথা বন্ধু! কোথা ভাই! মাতা-পিতা,কোথা আত্মীয়-পরিজন!!
সবই আজ যেন তুচ্ছ হয়েছে!
ধর্মের দোহাই দিয়ে রাজনীতি খেলা করছে!!
হিংস্রতা ছড়িয়ে পড়েছে চারিদিকে,
যা ছিল প্রাগৈতিহাসিক যুগেতে।
চেয়ে দেখো, সেদিন যে কুকর্ম আজ প্রকাশ্য দিবালোকে দৃশ্যমান।
হায়নাদের চোখ যেন সর্বত্র জ্বলছে!
ঐ দেখো,এখানে ওখানে লাখো লাখো কুমারী সর্বস্র হারায়ে,
বিচারের প্রতীক্ষায় কাঁদছে।
যেমন কেঁদেছিল রামায়ণে অহল্যা, দ্রৌপদী-মহাভারতে,
আলোটা নিভিয়ে দাও....
চির ঘুমে ঘুমিয়ে যেতে দাও আমারে....
ধরিত্রীর নিকষা অন্ধকারে।