কবিতা:- বল গুরমিত! বল!
কবি:- মনোজ ভৌমিক(দুর্নিবার কবি)
বল গুরমিত! বল! সাধুর বেশে,এ ছিল তোর কেমন তর ছল!
এবার কুড়িটা বছর,জেলের মধ্যে,দেখাস তুই,চু-কিত- কিত,কবাডি খেলার বল।
ডেরার সাধারণ সভ্য হয়েও,তোর মন ছিল যে চঞ্চল।
বল গুরপিত! বল! হৃদয় মাঝে লুকিয়ে ছিল কত স্বাধ্বীর মাংসালো অঞ্চল!
মনেতে তোর তৃষ্ণা ছিল,সাধুর বেশে কামাবি অনেক বৈভব।
কামনা ছিল তোর হৃদয়ে,ছিঁড় কুটে খাবি কত নারীর যৌবন।
এ কাজ,ও কাজ,সে কাজ করেও,আশ্রমে চালাতিস ট্রাক্টর।
হটাত করে বন্ধু হলো,জেল খাটা এক আকালী টেরর।
হরিয়াণার ঐ "সিরসা"শহর,হাজার একর জমিন;
মনের মধ্যে ঘুরছিল তোর,কেমন ক'রে গুরুতে হবি সামিল!
একদিন সেই টেরর বন্ধু,জেলের মধ্যে মরলো গুলি খেয়ে;
হিম্মত করে বললি সেদিন,গুরু বলেছে,"আমি যে তার ছেলে।"
ছড়িয়ে গেলো এই খবরটা ,সিরসা শহর জুড়ে,পেপারে-মিডিয়ায়;
"ডেরা সাচা সৌওদার" প্রধান হলি,নিলি আশ্রমের দায়-ভার।
রকস্টার তুই,হিরো বানলি,আধ্যাত্মিক গুরুর নামে,রাম-রহিমের নাম জুড়লি,
ধর্মের নামে বেধর্মী তুই,ফেশানেতে গা ডুবালি,গুপ্ত প্রাসাদ কেন বানালি?
মন্ত্রী-আমলা সবারে তুই গোলাম বানালি,সারা শহর কিনেই নিলি।
এত নারীর মধ্যে কি তুই স্বাধ্বীকে লোভ দেখালি?করবি তারে প্রধান বাহুবল!
বল,গুরমিত বল! মনের মধ্যে চলছিল কেন তোর স্বাধ্বী চোষার ছল?
হায়! গুরমিত হায়! চলছিল তোর মনের মতন,করছিল সব তোরই যতন।
"মোদির" চোখ চেনে যে রতন, ভন্ড তুই,তুই কালপ্রিট, নারীতেই তোর অধ:পতন।
আজও কেন বোঝেনি মানুষ জন,"বাবা বাবা" বলে লুটায় কেন মন!
বলে দে না আজ সবারে, জন্ম দাতা 'বাবা',আসল বাবা ওরে,ওনাকেই প্রণাম কর।
বি:দ্র:- সম্প্রতি ভারতবর্ষের হরিয়ানা জেলার সিরসা শহরের এক ভন্ড ধর্মগুরুকে কেন্দ্র করে লেখা।