কবিতাঃ-বলতে থেকো
✍️ মনোজ ভৌমিক


হনুমানের কর্মটাকে নিঃসন্দেহেই মানতে পারো,
ধর্মটাকে মানতে হলে মানুষ নামটা তফাৎ কোরো।
ব্রহ্মচর্য  করলে পালন দেশটা যাবে কার কবলে!
আমরা দু'জন 'এক' আমাদের,এই পলিসি সময় বলে!!


সিন্ধু থেকে বিন্দু হ'লে, নীচে গেলেই তুমি তো শেষ!
এমনিকরে আর কতদিন চলবে ভাই তোমার দেশ!!
প্রশ্ন কিন্তু অনেক বড়,উত্তর খোঁজার সময় এটা।
হিসেব করে দেখছো কি তোমার এখন বাচ্চা কটা?


ভোটের মুখে এই প্রশ্নেই আমজনতার দোদুল প্রাণ!
বদলে গেলে পাশার গুটি,ঘেঁটো সংখ্যা লঘুর সে ফরমান।
যাদের ঘরে বাচ্চা বেশি, সুবিধাভোগী হবেই তারা,
বিভাজনের এই নীতিতে রাজা রাণীর স্লোগান সারা।


ভাবছে বসে ডেভিড,জন,যদু ,মধু ও কাসেম মিঞা,
কারুর মনে ক্লান্তি নামে,কারুর নাচছে বেজায় হিয়া।
ছুটছে দেশ, ছুটছে মানুষ, উন্নয়ন রোডের 'পর,
অভুক্ত পেট, বেকারত্ব,রাস্তায় বাঁধে প্রত্যাশা ঘর।


বাচ্চা অধিক চাওয়ার মানে,বুঝতে তোমায় হবেই ভাই,
ই ভি এমকে মাথায় রেখো, আগামীকে ভোলার নাই।
দিন ফুরোলেই ভাবতে থেকো, ভারত কিংবা হিন্দুস্তান,
না হয় ওদিন উঁচিয়ে গলা, বলতে থেকো, "জয় হনুমান।"


বিঃদ্রঃ-  প্রিয় কবি  আর্যতীর্থের কবিতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে লেখা