নিঃশব্দ কালো রাত্রির বুক চিরে
দূর আকাশে জেগে ছিল শত সহস্র জোনাকি।
অকস্মাত্ তমসাচ্ছন্ন ধূম্র শিখরগুলি
ঢেকে দিল জোনাকিদের আঁখি।
প্রগাঢ় অন্ধকারে নিমজ্জিত হতে থাকে
দিগন্ত বিস্তৃত ধরিত্রী।


রুদ্ধশ্বাসে, নিবিড় বনানীর অন্তঃরালে,
ভয়ার্ত চোখগুলি জ্বেলে,
প্রহর গুনিতেছে, অজস্র পশুপাখী।
সুদীর্ঘ রিক্ত বৃক্ষ-সারি,সঘন-ঘন অন্ধকারে,
আকাশের পানে চেয়ে রয়-নিথর, নিষ্পন্দ।
বৃহত্তর পর্বতমালা, শূন্য হৃদয়কে
আকাক্ষিত প্রেম-স্পর্শানুভূতির সিক্ততার আনন্দে-বিহ্বল।


চাতকের চোখে ফুটে উঠেছে, আগামী
অনাস্বাদিতপূর্ব, তৃষ্ণা নিবারনের উত্কন্ঠা।
ময়ূরের অন্তরে জাগিয়াছে,চিরায়ত
শাশ্বাত প্রনয় নৃত্যের চঞ্চলতা।
খাল-বিল-সমুদ্র-নদী-নালা সহ মেদিনীর চিত্ত
পুনঃ অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার প্রবল আকাক্ষা।


সহসা, দীর্ঘদেহী বিরহী যক্ষ হিয়ার গম্ভীর নিনাদ,
" এসো, কাছে এসো প্রিয়া!"
নিদারুণ শারীরিক উত্কর্ষতায়
জ্বলে ওঠে, প্রেমাসক্ত তৃষিত হিয়া।
প্রতিবেশী হাওয়াদের দূরে ঠেলে,
ক্ষণিকে ঝরে পড়বে, আনন্দময় প্রেমামৃতধারা।