ঐ মেয়েট!সেদিন একরাশ মরুঝড় বুকে নিয়ে হেঁটেছিল,
মরুতীর্থ হিঁংলাজের পথ।
খুঁজেছিল একফোঁটা জল!মেটাবে পিপাসা সকল।
বার বার মরীচিকার মায়ায়,শূণ্য হাতে ঘোরে।
চিত্কার করে বলে,"হে মরুদেবতা,একচোল জল দাও মোরে,
মেটাবো তৃষ্ণা সবারে।"
অকষ্মাত্ মরু কুকুরের দল,বাড়িয়ে দিলো বিষাক্ত নখর।
কামনার চোখ জ্বেলে,বলে ওঠে,"ঊন্মুক্ত কর তোর লোলুপ বদন।"
পেলো না জল,ছিঁড়ে-কুটে খেতে চেয়েছিল তার ফুটন্ত যৌবন।
কুকুরের দাঁতের দাগ বুকে নিয়ে,একফোঁটা জলের আশাতে,
দাবিয়ে ছিলো লম্বা উঁটের গলা,ভীষণ আক্রোশে;
বলেছিলো সে," একটু জল দে!"
উঁটের পায়ের চিহ্ন পড়ে আছে, আজও তার নাভি দেশে।
পায়নি একটুও জল,কেবলি সংঘর্ষ করেছে।


রিক্ত, অবষণ্ণ দেহ নিয়ে,আজ দেখি,মাদ্রাজের সমুদ্র উপকূলে;
শুষ্ক বালুকা তটে,ঝিঁনুক-সামুকের পেটে,জল খোঁজে!
এক বুঁদ পিয়াসী জল!
পিপাসার্ত পিয়াসী মন, হেঁটে চলে...
দ্রাবিড়ীয় সভ্যতার বুক চিরে বঙ্গোপোসাগরের দিকে।
এখানেও জলের অভাব আজ!
সংস্কৃত নগরী, এখনও সে ভাবে জাগেনি!
তাই সে কালাহাঁন্ডির ফাটা মাটি খুঁড়ে চলে...
এক বুঁদ পিয়াসী জলের আশাতে।
আজ দেখি,মুখ গুঁজে পড়ে আছে,নালান্দার প্রাগৈতিহাসিক মাটিতে।


রিক্ত দেহ,ছিন্ন বসন,ঢলে গেছে আজ তার অশান্ত যৌবন।
কানে বাজে, আজ শুধু হাহাকার,"জল চাই! জল!"
মেটাতে চায় সে,চির পিপাসা সকল।
তাই আজ খুঁড়ে চলে সে,ছোট্ট জলাশয়-এখানে ওখানে।
পারে যদি তৃষ্ণা মেটাতে-আগামী ভবিষ্যতের!
ভরে নেবে,একরাশ বরষার জল সকল জলাশয়ে,
আজ-কাল-পরশুর তরে।


বিঃদ্রঃ- বিশিষ্ট সমাজ সেবী শ্রীমতি মেধা পাটেকারকে অনুসরণে লেখা।