কবিতা :- ধন্য তুমি একবিংশ শতাব্দী
        মনোজ ভৌমিক


প্রজন্মের এখন নাকি আর বর্ণপরিচয় পড়তে ভাল্লাগেনা!
ওরা ওখানে চোখের সামানে বিদ্যাসাগরকে দেখতে চায়না।
সত্যিকথা বলতে শিক্ষার অভূতপূর্ব বিকাশ ঘটেছে এই দেশে!
তাই বুঝি শিক্ষার অঙ্গীকার নিয়ে,লোকটা ভগ্ন প্রতিকৃতিতে দাঁড়িয়ে রয়েছে!
সমস্তরকম জৈবিক জিঘাংসার দাগ বুকে নিয়ে,মাটিতে মুখ ঠুকছে!
মানুষটা কি কোনোদিন এমন সমাজ সংস্কারের কথা ভেবেছে!
ভাবতে গেলেই বেড়ে ওঠা শিক্ষার রাজনৈতিক কষাঘাত পড়বে ওর পিঠে।
বেঁচে থাকা কতিপয় ইঁট-পাথরের মর্মর মূর্তিগুলি আগামীতে আর কি আস্ত থাকবে!
প্রশ্ন ওঠে,"শিক্ষা কি তাহলে কুটিল আবর্তে ঘেরা আর্থিক চাহিদার মানদণ্ড! "
নিরুত্তর সমাজ তাই বুঝি আজকাল ভাঙনের খেলায় মগ্ন!
ওরা এখন মনুষ্যত্বকে শিক্ষার কষ্টিপাথর দিয়ে পরখ করে না।
রাজনৈতিক থার্মোমিটারে পরিমাপ করে সার্টিফিকেট দিতেও ভোলে না।
তাই নীরব যন্ত্রণা বুকে নিয়ে বিদ্যাসাগর আজ কাঁদে প্রাচ্যের মনে,
নিকট ভবিষ্যতে বর্ণপরিচয় পরিণত হতে চলেছে পরিচয় হীন বর্ণে!
ওরা চিৎকার করে বলে,"ঊনবিংশ শতাব্দী কেন আসবে এইখানে?"
ধন্য তুমি একবিংশ শতাব্দী!  আজ মহা বিবর্তন তোমার প্রাণে!