কবিতাঃ-হে জীবনানন্দ
✍️  মনোজ ভৌমিক


আবার যদি জন্ম নিই কোনোদিন এই বাংলার মাটিতে,
কবিতাকে যেন জন্মদিতে পারি তোমার চোখে চোখ রেখে।
ভাবনাগুলো যেন উড়তে পারে  শঙ্খচিল আর সান্ধ্য সূদর্শণ হয়ে!
হৃদয়ের অনুভূতিগুলো যেন ভেসে ওঠে জলাঙ্গীর ঢেউয়ে!
হিজল-বকুল আর জামুনের গা বেয়ে নেমে আসা বরষার জল,
বলবে মিষ্টি হেসে,ডাহুকের প্রাণ,প্রেম বন্যায় হয়েছে চঞ্চল।
সেঁদো মাটির গন্ধ মেখে বেঁচে উঠবে সজীব কিশলয়,
সান্ধ্য সমীর বুকে বেঁধে জেগে উঠবে হিমালয়।
সোনালী ধানের শীষে,ধবল বকের ডানায় ঘুমিয়ে যাবে পুরানো রোদ্দুর,
ক্লান্ত গাঁঙচিল উড়ে যাবে সন্ধ্যার আশমানী সমুদ্র ছুঁয়ে দুর বহুদূর।
আকাশের নীলিমায় চোখ রেখে দিগন্তে হবে পরিচয়,
পৃথিবীর সমস্ত রূপ কলম ছুঁয়ে পান্ডুলিপিতে নেবে আশ্রয়।
ধূসর মৃত্তিকার দেশে খুঁজবো ইতিহাসের পুরানো গহ্বর,
সেখানে খুঁজবো আর একবার তোমাকে,যদি পাই শৈল শহর!
বনানীর অন্তরালে ঘুমিয়ে পড়বে দিনান্তের ক্লান্ত সূর্য!
ঝিঁঝিঁ পোকা উঠবে ডেকে,জোনাকির আলোয় মায়াবী রাত হবে অপূর্ব!!
তারপর ভেসে যাব তোমার হৃদয় ছুঁয়ে নাটোরের দেশে,
কল্পনার ভেলায় চড়ে "পাখির নীড়ের মত চোখ দুটি তুলে" জিজ্ঞাসা শেষে...
ঘুমন্ত দ্বীপ আবার উঠবে জেগে ভোরের শিশির মেখে,
ফেলিল সমুদ্র ছুঁয়ে দারুচিনি দ্বীপের ভিতর খুঁজে নেবো তাকে...
দু-দণ্ড শান্তি দেবে যে আমার "হাজার বছর ধরে " হেঁটে চলা ক্লান্ত শরীর অসীম ভালোবেসে,
সে তো আর কেউ নয়, নাটোরের বনলতা সেন! এ হৃদয় আবার উঠবে হেসে।
আবার কবিতা জাগবে... ভালোবাসা হবে না তো ক্ষয়,
তোমার বুক হাতড়ে এ মাটিতে রেখে যাব আমি নিজের পরিচয়।
তারপর,ঘাসেদের বুক বেয়ে কোমল মাটিতে নেবো চির শান্তির আশ্রয়!
জীবনের সকল হিসেব নিকেশের সুনিপুণ শেষ পরিণয়!!



বি:দ্র:- কবি জীবনানন্দের জন্মদিনে আমার আন্তরিক শ্রদ্ধাঞ্জলি