কবিতা:-লক্ষীতে সবার নেই যে সুখ।
কবি:- মনোজ ভৌমিক


সান্ধ্য সূর্যটা দিগন্ত-বনানীর যৌবনে আটকে পড়েছিল।
গোধুলীর লাল রঙ সমুদ্রকেও ভালোবেসে ছিল।
ওখানে মন্দার পাহাড় বেয়ে কোজাগরী পূর্ণিমার চাঁদ হেসেছিল।
ওরা বলল লক্ষী পূজোর সময় হয়ে এল।
কি করে এল!  একবার তো বুঝিয়ে বলো!
সমুদ্র নিস্তরঙ্গ এখন।মন্দার দাঁড়িয়ে আছে,ওখানে আগের মতন।
বাসুকীর ক্লান্ত দেহ নিচ্ছে যে শ্বাস আগের মতন।
দেবতারা নেই যে এখানে,শুধু অসুরেরাই খেলা করে।
তবে কি সমুদ্র মন্থন শেষ হয়ে গেছে অনেক আগেই!
তাই বুঝি অসুরেরা,সমুদ্রতটে সহস্র নির্বস্ত্র মোহিনীদের পিছনে ভাগে!
ওদের কাছে দেহামৃত আছে, অমৃত নাই যে!
আসল অমৃতের স্বাদ,নিশ্চয়ই দেবতারা নিয়ে গেছে!


না! এখেনো আসেনি লক্ষী!ও তো সমুদ্রের কাছে বন্দী।
তাই তো চতুর খেলা খেলে গেল শঙখ চক্র গদা পদ্ম ধারী।
বলে দিল বরুণকে,আবার আসবে দেবতাগণ।
ক্ষাণিক পরে শুরু হবে পুন: সমুদ্র মন্থন।
দেবাসুরের এ কপট খেলা চলবে নিরন্তর।
লক্ষীর উতপত্তি 'পরে,শিবকে হতে হবে নীল কন্ঠের অধীশ্বর।
নারায়ণের সুখের দিনে,পার্বতীর বড়ই যে দুখ।
তাইআজও দেখি,পৃথিবীর ঘরে ঘরে সুখের বৈষম্য যে খুব।