উর্বর মেদিনী সৃষ্টির প্রথম প্রকাশে উন্মুখ--
আকাশ গঙ্গার পাল তোলা জাহাজ
ঢেউয়ের নিস্তব্ধতায় স্থির।
নক্ষত্র আলোকমালাকে দু'চোখের মণিকোঠায়
স্বপ্নের তর্পনে আবিষ্ট করে
প্রথম ঊষার নতুন আলোটাকে
প্রসবের ঊত্ক্ণ্ঠায় - মাতৃত্ব উদগ্রীব।
পরিপূর্ণ মাতৃত্ব আজ আগ্নেয়গিরীর অগ্নুত্পাতকে
স্তব্ধ করে, ভাবনার গহ্বরে নিজকে প্রতিষ্ঠিত
করতে চলেছে।
রিক্ত হৃদয় আজ মাতৃত্বের সকল অবগুণ্ঠন
ঊন্মোচন করে, ধরিত্রীর বুকে ছড়িয়ে দিয়েছে
সজীবতার মেলা।
আশা রাখেনি সে কোনো দিনও
পাবে মাতৃত্বের প্রতিদান।
আলোকদীপ্তির মত তার সৃষ্টি
বিশ্ব মাঝে হোক মহীয়ান।
এই তার মনে ছিল আশ।

কিন্তু হায় ওরে মাতৃত্ব! কোথায় তুমি!
তাকিয়ে দেখ, বিভেদ আর বিচ্ছেদের প্রতিদ্বন্দ্বীতায়
নিজের প্রাধান্যতায়- ভাগের আগুনে আজ তুমি
জ্বলে পুড়ে ছার খার।
তবু তুমি সর্বংসহা-নির্মল-শান্ত, সৃষ্টির উন্মাদনায়।
আশার আঁচলে নীরবে মুছে চলো আশ্রুজল।
মা তুমি নও হীন বল।
মা, তুমি অপুর্ব, তুমি প্রোজ্জ্বল।


বিঃদ্রঃ আজ মাতৃ দিবসে আমার ছোট্ট উপস্থাপনা।