কবিতা:- মৃত কী করে বুঝবে বলো...
কবি:- মনোজ ভৌমিক


দিগন্তের শেষ আলো,বনানীর অন্তরালে মুখ ঢেকেছে।
প্রগাঢ় অন্ধকার যেন ঘিরে ধরলো ধরণীর সৌন্দর্য্যকে!
তবুও ওখানে আজ কেন এত আলোর জয়ধ্বনী!
তারা বলে গেলো,"ওখানে মহাশ্মশানে,
মৃত মানুষদের অবয়ব জ্বালানোর চলছে কারবাহী।"
সেই মানুষগুলো!যারা সেদিন জন্মেছিল।
জীবন রঙ্গমঞ্চের শ্রেঠ নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে,
অভিনয় করতে এসেছিল ওরা!
সফল-অসফলতার সাথে চলতে চলতে.... আজ মৃত!
কিছু সময় পর,ওদের নি:ষ্প্রাণ দেহে পচন শুরু হবে,
চারিদিকে ছড়িয়ে পড়বে অস্বাভাবিক দুর্গন্ধ!
তাই আজ ওদের নি:ষ্প্রাণ দেহটা--পরিজন তো দূর!
সর্বংসহা পৃথিবীও ওদের দায়ভার  নিল না।
গতিশীল পৃথিবীও বলেদিল,"ওরা আজ মৃত!
মাটির নীচে শুইয়ে দাও ওদের।
নইলে জ্বালিয়ে দাও ওদের দেহজ অস্তিত্ব।"
জীবদ্দশার সমস্ত হানাহানি,দ্বেষ-বিদ্বেষ,
আমার আমার করে জমানো ঐশ্বর্য্য
ওরা কি বুঝেছিল?একদিন মাটির বুকে হয়ে যাবে নিশ্চিহ্ন!
নয়তো চিতার আগুনে হবে ভষ্মীভূত!
কেবলি ক'দিনের ছবি হয়ে থাকবে পরিজনের চোখে।
এক প্রজন্ম পর,পড়ে রবে আস্তাকুঁড়ে।
জীবন্ত মানুষ কেন বোঝে না সংসারের এই চির সত্যটা!
মৃত  কী করে বুঝবে বলো.. জীবনের পরিভাষা!