কবিতাঃ- জাগ রে নারী
  ✍️ মনোজ ভৌমিক


কল্পকথার গল্পগুলি ঠাকুমার ঝুলি ভরে,
সত্যিকারের ঘটনাগুলি ইতিহাস হয় পরে।
ইতিহাস তো মুখবুজে রয় যতদিন না খোলো,
তোমার আমার জীবনকথা ইতিহাস কবে হলো?
খাচ্ছি দাচ্ছি কাজ করছি পয়সা আনছি অনেক...
ওইখানেতেই জীবনকথা,জানলো গুটি কয়েক।
নিয়ম ভেঙে সমাজ গড়া বড়ই অসাধ্য কাজ,
অনিয়মের পিঠে চাবুক মারলেই পরবে মাথায় তাজ।
"সতীদাহ" দাহ করেছিলো একটা লোকেরই হৃদয়,
কুসংস্কারটা ভাঙেন তিনি মনে নিয়ে দৃঢ় প্রত্যয়।
দাপট ছিল ব্রাহ্মণদের সমাজ জ্বালানো কাজ,
নিয়ম ভেঙে অনিয়ম গড়ায় ছিল না কোনো লাজ!
আসলকথা নারীরা ছিল তাদের হাতের খেলনা!
মূঢ় সমাজের মাথা চিবিয়ে পুরণ করতো বায়না!!
হিসেবেরও ভাই হিসেব থাকে,যতই খাওয়াও গুল,
"অধুনা পুরুষ" হাতুড়ি মেরে,ভাঙলো সমাজের ভুল।
পুরুষ সমাজ চতুর বড়,নিজরেই বড় ভাবে,
নারীর গর্ভে জন্ম তবু ওদের বাড়িয়েছে আগে কবে?
গার্গী,মৈত্রয়ী,অপালা ছিলেন বড়ই বিদুষী নারী,
বৈদিক সমাজের পৌরুষত্বে লাগিয়েছিলেন দাঁড়ি।
বিক্রমাদিত্যের রাজসভার "খনার" কথাই ভাবো,
পৌরুষ তন্ত্রের লজ্জা বাঁচতে কাটতে হলো জিহ্বও!
আজও সমাজের  বিকৃতরূপ দেখছি চারিধারে,
অবলা যোনিতে ছোবল মেরে বলছে," আহা রে!"
বদলে গেছে অনেককিছু, বদলেছে এ সময়,
উঠছে জেগে অনেক নারী কাটিয়ে পুরুষ-ভয়।
সকল পুরুষ অধম তো নয়,কারুর আছে সমান দৃষ্টি,
তাই তো আজ সর্বক্ষেত্রে নারীদের অসম সকল সৃষ্টি!
বদলেছে যুগ,ধ্যান ধারণা,বদলেছে কি মানসিকতা!
ধর্ষণ আর নারী নির্যাতনের কেন এত জয়গাঁথা!!
মোমবাতি মিছিলে হাঁটবে কেন নির্ভয়া,আসিফার দল?
জাগ রে নারী,জাগ রে তোরা,ভাঙ্ পৌরুষত্বের বল।