( বিষয়টি "পরমা" ছায়াছবির প্রেক্ষাপটে লেখা মানসিক অবক্ষের কাহিনী)


কবিতা:- পরমা
কবি:- মনোজ ভৌমিক


অঙ্কে অঙ্কে হতে থাকে যোগ বড়,
বিয়োগের ঘরে ভাবনা যে বড়সড়।
রূপকথার সেই অরূপকথার মত,
সমাজ পেরিয়ে সময় হয় যে আহত।
মনের পিয়াস মনকে বোঝানো দায়,
শরিরী পিয়াস তনকে জ্বালিয়ে যায়।
ভাসুরের ছেলে, ছেলে যে নিজের মত,
তার বন্ধু!সেও ছেলে সম্পর্কে তো।
বিদেশ থেকে এসেছে সে ছেলের সাথে,
ফটোগ্রাফিটিতে মাস্টারি নিয়ে হাতে।
ঘরেতে ঢুকেই, "আন্টি নাইস লুক!"
এই কথাতেই জাগলো ফটোর ঝোঁক।
এক ফটোতে প্রশংসায় বাজীমাৎ!
আন্টি মনেতে ভাবনার উৎপাত।
অসম বয়সে বৈধতা নেই যে কোনো,
অবৈধ প্রেম মডেলেতে রূপ নিলো।
বিদেশে যত ম্যাগাজিনে ছাপলো ছবি,
ডলারে ডলারে ঋদ্ধ ফটোগ্রাফি।
আন্টির নেই পয়সাতে কোনো সুখ,
অবৈধ প্রেমে মেটায় সে মনের দুখ।
একদা দুজনে চিলাকোঠার সে ঘরে,
দরজা খুললো ফটোগ্রাফিটির তরে।
দুরন্ত সব পায়রা ঝটপটানি,
আন্টি জড়ালো বে-হিসাবী দেহখানি।
বিবশ বিষণ্ণ সান্ধ্য সূর্যটা,
অস্তমিত, দিগন্তে শেষ যেথা,
দেশেও ছড়ালো ম্যগাজিনে চুপিকথা।
পরিবারে জাগে হতাশায় ভরা ব্যথা।
প্রফেশন তার ফটোগ্রাফিতেই ছিল,
পয়সা কামিয়ে বিদেশেতে পাড়ি দিল।
অবৈধ প্রেমে উন্মাদ পাগলিনী,
স্মৃতি ফিরে দেখে সন্তান জননী।
এই ফ্যাশনেতে ডোবে দেখি অনেকেই,
স্ট্যাটাস দেখিয়ে ঝুঁকি পরমাতেই।