সেই কাজল হরিণী চোখ!
আজও খুঁজি, এখানে-ওখানে,
যাকে দেখেছিলাম, বাইশ বছর আগে!
কোনো এক মেঠো পথে,
খেঁজুর গাছের তলে, নীরব মধ্যাহ্নে।
পিয়াসী দু'টি চোখ, গভীর আবেশে,
চেয়েছিল মোর পানে!
সে চোখের মাদকতায়, জ্বলেছিল মন,
পুড়েছিল হৃদয়, প্রেমের আগুনে।
অনন্ত পিয়াস ছিল, তরুণীর চোখে!
যে পিয়াস ছিল না কোনো চাতকের গলে,
উত্তপ্ত গ্রীষ্ম দ্বিপ্রহরের শু আবহায়ে।
সে পিয়াস আজও আমি পাইনিকো খুঁজে,
যে পিয়াস দেখেছিলাম, বাইশ বছর আগে,
ললনার কাজল হরিণী চোখে!
গভীর নীল সমুদ্র যেন,
বিন্দুসম লেগেছিল তার দুটি আঁখে।
আজও খুঁজি, সেই দুটি পিয়াসী নয়ন!
প্রত্যন্ত গ্রামের মাঠে-ময়দানে,
মেঘহীন নিঃঝুম দুপুরে,
শাল-পিয়ালের বনে, মহুয়ার আলাপনে।
দূর্গম পাহাড়ের আঁকাবাঁকা পথে।
আবার খুঁজেছি তারে, বরষার কালো জলে,
ভরা জলাশয়ে!
ঘুরে ফিরে গেছি আমি, ঊন্মাদ বসন্তের দ্বারে,
দেখেছি অনেক চোখ!
পাইনিকো তারে!!