কবিতা :- পূজোর আনন্দে, মানবতা কি শূণ্য!
কবি:-মনোজ ভৌমিক


কাজের শেষে রিক্ত বেশে,এলাম ঘরে ফিরে।
গিন্নী বলেন,হল কি গো? বসলে যে পা মুড়ে?
দেখছো না কি!তৈরি আমি! যেতে  হবে মলে!
হঠাত চমক! মাথার ভিতর।বললাম মুখ তুলে,
আবার মলে!কিসের তরে!হয়নি শপিং খতম?
বললে রেগে গিন্নী রাণী,জানো না কি দূর্গা পুজো এখান!
হতাশ হয়ে,মুখটি তুলে,বলি তারে,মাস খানেকেও হয়নি শপিং শেষ?
রেগে আগুন,তেলে বেগুন,যাবো না আমি,এই খুলালাম ড্রেস।
থামো থামো,রাগ কোরো না।চলছি আমি,একটু তো দাও রেষ্ট।
বুঝেশুনে চলো রাণী,জি.এস.টি তে,কাজের বাজার শেষ।
'ন'দিনেতে ন-টাশাড়ী,কসমেটিকআরইমিটেশানে,মেটেনি মনের রেশ?
তারপরেতে আসবে আবার লক্ষ্মী-কালী-সরস্বতী,পয়লা বৈশাখ বেশ।
আলমারি আর শোকেসগুলো হাপিয়ে উঠেছে, হয়েছে স্থুল মেষ।


বললাম,এবার নীচে চলো,গাড়ীটা বার করো।
ধীরে ধীরে গোধুলীর রঙ রাস্তা করলো আলো।
আমি বললাম,তাকিয়ে দেখো,ঐ পথের ধারের ধুলো।
ছেঁড়া কাপড়,মায়ের সাথে,খেলছে কেমন ন্যাংটো শিশুগুলো!
তোমার এত অপচয়!ওদের নেই সঞ্চয়। দেবে কি তোমার আলমারির ঐ পুরানো কাপড়গুলো?
বললে তুমি হঠাত করে,ভীষণ রেগে,সাহস তোমার কেমন দেখি ওগো!
ওরা পরবে আমার শাড়ী! ওদের সাথে আমার স্ট্যাটাস,কেমনে তুমি জোড়ো?
মানুষ তো ওরা সবাই ওগো,ভাবতে কেন পারো না গো!
জীবন নদীর ঘূর্ণিপাকে,কে বড় আর কেই বা ছোটো!
সেদিন যে বড় ভাষণ দিলে!সমাজসেবীর মাইক্রোফোনে!
বললে বড় গলা ফাটিয়ে,তোমার প্রাণটা ওদের তরে!দান করবে অকৃপণে?
ভুললে কি সব!পূজোর গন্ধে মাতোয়ারা।কেনাকাটি হয়নি সারা।তোমার দিকে তাকিয়ে ওরা!
চেয়ে দেখো, এই ভুবনে,কেউ হাসে,কেউ বা কাঁদে,জীবন যুদ্ধে জয়ী কারা!
আজকে তোমায় বলি ওগো,অপচয়টা কম  করো গো।
পারো যদি, হৃদয়মাঝে,মানবতার দীপ্ত দীপ জ্বালো।


বি:দ্র:-দু একটা জায়গাতে চন্দ্র বিন্দুর অভাব আছে।ওটা কাল পি সাইট ঠিক করে নেবো।