কবিতা:-তিন-রঙা পতাকা
কবি:-মনোজ ভৌমিক (দুর্নিবার কবি)


আজ স্বাধীনতা দিবস গো...স্বাধীনতা.....
এসেছি আমি,স্বাধীন তিন-রঙা পতাকার ফেরিওয়ালা।
আমার হাতে আজ কত শত তিন-রঙা পতাকা তাই,
এসো গো, এসো বন্ধু, এসো ভাই, সবার হাতে একটা পতাকা দেখা চাই।
এরই মধ্যে লুকিয়ে আছে,বিশ্বাস-শান্তি-ত্যাগের ভাবনাগুলো ভাই।


নাও না,নাও না ভাই,একটা তিন-রঙা পতাকা।
ভয় পেয়ো না,কোনো মূল্যই দিতে হবে না।
শুধু গেঁথে নাও একবার হৃদয়ের মাটিতে;
এবার কানপেতে শুনে দেখো..হৃত্পিন্ডের গতিতে,
গুমরে গুমরে কাঁদছে তারা
অব্যাক্ত যন্ত্রণায় দিশেহারা।
ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে বলছে ওরা,
"এ যন্ত্রণাময় স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখিনি তো আমরা!
শুধু এক ঝুড়ি ফুল,কিছু গুল্মলতা;
কয়েকটা জ্বলন্ত ধূপ,উড্ডীন পতাকা।
একটু শ্লোগান,কয়েকটা স্যালুট।
একপেট স্বার্থভরা রাজনৈতিক ভুখ।
এটাই কি সর্বশ্রেষ্ঠ স্বাধীনতার সুখ?"


আবার ঘুমিয়ে পড়ে হৃত্পিন্ডের ওঠা-নামা।
শরীরের বন্ধুর মাটিতে নেই আজ সজীবতার ছোঁয়া।
এখানে ওখানে ছড়িয়ে আছে,ফেটেপড়া রক্তের আলপনা।
মাত্র সাতটি দশকেই কি সবাই ভুলে গেছে স্বাধীনতার উন্মাদনা!
ওরা তো আজও জেগে জেগে শুয়ে আছে তোমাদের হৃদয়ে।
পতাকার তিন-রঙে,তুমি দেখেছ কি ওদের ব্যথার ছবি, দৃঢ় প্রত্যয়ে?
তাদের ঐক্যের স্বপ্ন,অবিশ্বসের ছুরিকাঘাতে ;
শান্তির নানান অজুহাতে,হয়েছে যে ভগ্ন।
ওগো বন্ধুরা সব,নাও না এ পতাকা।
বিভেদের সুর ভুলে,হিংসার রাস্তা ছেড়ে;
মহামিলনের জয়গানে,আর একবার উত্তোলিত করো;
সমন্বয়ের এই তিন-রঙা পতাকা।
তৃপ্ত হোক স্বাধীনতার স্বপ্নে বিভোর,তাদের অতৃপ্ত আত্মা।