রিনিঝিনি বেজে উঠে মুঠোফোন, ফিসফিস করে বলে,
হ্যালো! আমি সেঁজুতি, তুমি কেমন আছো বল?
জান, কত কষ্ট করেই না তোমাকে পেয়েছি আজ
রোজ রোজ কল করি আর
নষ্টা মেয়েটা ইংরেজিতে সরি কয়;
যাক, সেসব কথা  
তোমার সেই ভিউ কার্ডটি বৃষ্টিতে ভিজে গিয়েছিল
সঙ্গের চিঠিটিও
উনুনের পাশে শুঁকিয়েছি আজ
আর একটু হলেই মা খুলে ফেলতেন ভাঁজ!
অঘ্রাণে পেকেছে ধানের ক্ষেত
বাবাও হাসেন ধানের মত খিল খিল আর
আমি বানাই নতুন ধানের পাঁপড়
উঠোনের রোদে শুঁকাই জল ।
হ্যালো, শুনছো?
ও পাড়ার শিমুর গায়ে হলুদ হয়ে গেল কাল
আমি যেতে চেয়েছিলাম
মা বললেন, আজ বাদে কাল তোর বিয়ে  
এসময় যেখানে সেখানে যাওয়া উচিৎ নয় !
এখন আমি কি করবো বল?
চুপ করে আছো কেন?
কথা বল লক্ষীটি –
কেমন আছে তোমার শহর?
কেমন আছে তোমাদের য়্যুনিভাসিটি ?
ওপাশ নিরুত্তর ছবি
এদিকে সন্ধ্যা নামার আগেই ডুবে রবি!
হলুদের চেয়ে হলুদ মনে হয় বিকেলের আকাশ ।