আজই জানলাম তিনি কবিতা লিখেন
কিছুটা নির্বাক হলাম, কিছুটা অবাক
বিস্মিত হওয়াই মনে হয় উচিত ছিলো
নাকি কম বেশি বিস্মিতও হয়েছি?
আয়নায় নিজের মুখটা দেখলে বুঝা যেতো
আরো বুঝা যেতো সত্যি আমি বিস্মিত হওয়ার
ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছি কিনা …
ও হ্যাঁ, তিনি আমার বন্ধু সুনীল
পেশায় এঞ্জিনিয়ার
সৎ কিনা জানি না
তবে শতভাগ নিষ্ঠাবান
আগাগোড়া অমায়িক
চেহারা রাবিন্দ্রিক
মিষ্টভাষী অবশ্যই
এমন আরও দশটা পাঁচটা গুণের কথা
বলা যাবে অনায়াশে
আর
আজ বহুদিন পরে হঠাত করে
দেখা হয়ে গেলো – বুকে বুক মিশলো-
যথারীতি এ আর এক কাব্য !
ঘাসের উপর বসলাম
আঙুলে গুণলাম একে অপরের ছেলে মেয়ে
এক ফাঁকে বাড়ি গাড়ির হিসেবও উঁকি দিল
আর বিদায় বেলায় তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে
হাতে ধরিয়ে দিলো একটি কবিতার বই
মনে হলো, বিস্মিত হওয়ার হারিয়ে যাওয়া ক্ষমতা
ফিরিয়ে দিলো আমাদের সেই সুনীল …
পাতা উল্টাতেই চোখে পড়লো একটা শিরোনাম
মনে পড়লো বহুদিন আগে এমন একটা শিরোনাম এঁকেছিলাম
মনে হলো চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনী
জিজ্ঞেস করলাম, বাকিগুলো কোত্থেকে পেলি ?
সুনীল শুধুই হাসলো
আমিও বুঝলাম, তিনি এখন কবিতা লিখেন …