তাঁর বাঁশির  মতো নাক ছিলো  এ কথা সত্যি
তাঁর নাকের বাঁশি বাজতে জানে, একথাও সত্যি- আর  
তাঁর বাঁশিতে যাদু আছে,  একথাও  পরম সত্যি ...
যেমন তাঁর নাকের  বাঁশির মধুর সুরে
একাদশীর  আস্ত  একটা রাত নির্ঘুম  কাটিয়েছি-  
শুধু আমি নই, আমার কোলবালিশ আর মশারীর ভেতরে
লুকানো মশারাও   শুনেছিলো মগ্ন চিত্তে সারারাত!
সেদিন  
শিয়ালের হুক্কাহুয়া কানে আসেনি
কানে আসেনি জোনাকির গান ,মেনি ইদুরের  কুটকুট
লিক-করা  ট্যাপের  ফোঁটায় ফোঁটায় জল পতনের শব্দ।


তাঁর  নাকের বাঁশির সুরে এতটাই ইন্দ্রজাল ছিলো যে
রাত জাগার জন্য আমার কোন চা বা কপির প্রয়োজন হয়নি -  
এমন কি দূর কোথা হতে ভেসে আসেনি কোন
নৈশ কামলার “বস্তিওয়ালা  জাগো” ধ্বনি  
কোন  নিশুতি ট্রেনের হুইশেল শুনেছি বলেও মনে পড়ে না।

ছয় ফোরের  বাঁশি অনেক  শুনেছি
দুই ফোরের বাঁশি  এই প্রথম
জীবনে অনেক প্রথম, বড় ও মধুর অভিজ্ঞতাই রাতের  আকাশে
আজ রাতে আর একটি  পালক যোগ হলো  পাখনাতে -
এ পাখনার বাতাসে উড়া যায় না
ঘুমের  ঘোরে  মরা যায় না
শুধু এপাস ওপাশ করা যায়  
বাঁশিওয়ালার মুখের দিকে মায়াময় তাকিয়ে থাকা যায়  
আর শুধু একটি  নতুন ভোরের জন্য অপেক্ষা করা যায় …