আমি আর কথা বলবো না শিমুলের সনে
বসবো না বকুলের ডালে
গাইবো না জুঁই  ফোটা ভোরে-
আমি জন্মান্ধের মতো শুধু তিমিরে তোমার
ছায়া খুঁজবো হিজলের বনে।
টোলে যদি পড়ে চাঁদের কিরণ
গগনে আঁকবো ছবি পদ্মঝিলের, আর
আনমনে পাতাঝরা শিউলির গন্ধ শুকাবে
শেষ বিকেলের রোদে;
আমি দু'চোখ মুদে রুধিব শ্রাবণ ঢল -
ছল! আর কতো প্রসিবে ছল?


এইসব আকালের দিনে এ শূন্য বুকে
বাসা বাঁধতে চেয়েছিলো এক নীলচঞ্চু্ চড়ুই
মোহরাঙ্কিত বুক নীলামে চড়াতে পারিনি, আর
পেটের দায়ে পেট ভাড়া দিই কি করে, বলো ?


যে মালায় শুধু কষ্ট গাঁথা আছে তা নাইবা পরলে
যে গানে শুধু ব্যথাই বাজে তা নাইবা শুনলে,
মন্ত্রপুত জলে ভাসিয়ে দিও
সাদা গোলাপের পাপড়িগুলো,
খুঁজে নিও রঙ পেন্সিলে আঁকা রঙিন গোলাপ, কিংবা
বসিও মনোহর কোন চেনা বা অচেনা বাতায়ন পাশে;  
ভেবে চোখের পলক ফেলিও
এইখানে দিগন্ত ছোঁয়া সবুজ, অতঃপর  
অন্তহীন সমুদ্দুর
আকাশ! সেতো বহুদূর...