ঋণে জর্জরিত শরীর নিয়ে আজকাল মুখ লুকাই শুধু
বালিশের নিচে, দেয়ালের পিছে, মুখোশের ছাঁচে।
ভাবি, এইতো আমাকে দেখে ফেলেছে রিকশার মুখ
জানালার চোখ, রাস্তার বুক, গভীর রাতি, নিয়নের বাতি।
কেবলই মনে হয়, ঐ দূর হতে কে যেন ডাকিছে আমায় ;
স্পষ্ট শোনা যায়- “এই যে ভাই, যাচ্ছেন কোথায়?
আমাদের কি মনে নাই? এমন করে ভুলতে নাই;”
হকচকিয়ে পেছনে তাকাই, কেউ নাই, কেউ নাই –
ডানে বামে আর কি চাই! গলির ভিতর ঢুকে যাই
স্বস্তিতে তুলি হাই – মনে হলো, এক কাপ চা খাই;  
বলে কিনা চায়ের দোকানদার- “এইটা ভাই কেমন কারবার!
বড় দরকার, পাওনা আপনি কি দিবেন না আর?
এইখানে শিখিলাম, যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই রাত হয়।
অতঃপর ভাবিলাম, জীবন শুধুই খেলা, শুধুই নয়ছয়।
বনেজঙ্গলে ঘুরে ঘুরে আজ খুব ক্লান্ত এ অভাজন
বাড়ি যেতে চায় মন, তখনই মনে পড়ে বঊয়ের চক্ষু শাসন;
এখানেই শেষ নয়, আছে জন্মঋণ, পুত্রঋণ, প্রত্যাশা ঋণ
পথঋণ, কথাঋণ, ব্যাংকঋণ, চেকঋণ – এমনি কতশত
পা আর চলে না, দু’চোখে শুধু জল ঝরে অবিরত ।