অনেকতো হাঁটা হলো পথ কাদা-মাটি-জলে
উঁচু-নিচু পাহাড়, সমতট গৌড় হেঁটে হেঁটে
ইরাবতী, গঙ্গা, মিসৌরীর জলে ভেসে ভেসে
এক অচেনা দ্বীপে দাঁড়িয়ে আছি একা …
ক্ষুধায়, তৃষ্ণায় কাতর উদ্বাহু এক পথ-ক্লান্ত  
অদূরে ঐ  শুনা যায় সফেদ সমুদ্র গর্জন
বুকের উপর আঁছড়ে পড়ে সোনালী ঢেউ
কানে কানে বলে যায় জীবনের ইতিকথা
গাং-শুশুক নিয়ে আসে পুঁথির মালা  
দু’চোখে ভেসে উঠে ঝলমল আদমসুরত
ষোড়শী অনূঢ়া  চাঁদনি রাত, আর
চাঁদের মতন মুখ
জোছনায় মাখামাখি হয়েছিলো দু’টি
শাপলা শালুক …
অজানা ভোরে বাঁশির সুরে
জোনাকিরা গিয়েছিলো উড়ে
দূরে, বহু দূরে  …


অনন্ত নক্ষত্রবিথীকা ছিলো নিশ্চুপ
পুঁথির মালা কি বলেছিলো হস্তমালিকারে ?  
বন-বালিকা টুনটুনি তা শুনিবে কোন প্রায়ান্ধকারে !
থেকে থেকে হেথা ভেসে আসে পুতুলের মুখ
সিকি আধুলিতে কেনা অনন্ত অথৈ সুখ!  


সিন্ধুপারে একা আমি চারিদিকে অথৈ বালুকা রাশি  
গোমরে কেঁদে উঠে বুক, হৃদয়ে বেজে উঠে চিরচেনা বাঁশি
দু’চোখ ফিরে যায় নলিনের বিলে …  
বিলের হাঁটুজলে ডানকানা্র কানাকানি শুনি, প্রাণভরে।    
মনের ভুলে কল্কীজবা ফুলে, দেই চুমু
এইখানে আমি একা দাঁড়িয়ে…  
শুনতে কি পাও মুমু ?