উদিতে দেখেছি সূর্য,
তবে কেন চারদিকে অন্ধার?
ঢেকে গিয়াছে কী রবি?
নাকি ঘনায়ে এসেছে আভা সন্ধ্যার?
এত শত চাওয়া শেষে উদিল যে দিবাকর;
তাহা ঢেকে দিবে! এত তাড়াতাড়ি ঝুট-আঁধার।
তবে কেন এত শত চেষ্টা?
বৃথাই যাবে যদি তেষ্টা।
ঘিরে রাখবে কী দিন, কালো অমানিশা?
আঁধার কী ঘিরে নেবে সবটা?


ওরে দ্যাখ, অম্বুধর আড়ালে,
দেখা যায় রবি! চোখ বাড়ালে।
নহে এটা রাত্রির শর্বর;
করেনি রবির আলোরে গ্রাস।
জেগে ওঠো, নয় এটা ক্ষণদা,
ঘনায়ে আসেনি কোন সন্ধ্যা।
এ কালো ক্ষণিকের অভ্র,
কিছু পরে দিন হবে শুভ্র।
আঁধার কী পারে আলো গ্রাসিতে
আলো পারে, আঁধারকে নাশিতে।
শোন! শোন! ঘন শোর আকাশে,
ডাকিতেছে প্রভঞ্জন কাছে।
চোখ খোলো, নহে এটা রজনী;
হবে সব নব, যত গজনি।
হলে হোক বাদলের বৃষ্টি,
তবু হোক নব দিন সৃষ্টি।
হাসুক নতুন ভোরে দিবাকর,
ঝলমলে হোক গোটা প্রান্তর।


............................................
............................................


ওরে দ্যাখ, উদিয়াছে দিবাকর!
হইয়াছে নতুন আরেক ভোর।
পাখি সব উঠিয়াছে ডাকিয়া,
ফুলে-ফলে অরণ্য বাগিচা!
সোনালী ঝলক এই দিবসে,
কেটে গিয়াছে আঁধার, অবশেষে।
উদিত হয়েছে নব সূর্য,
সফল হয়েছে রণতূর্জ।