এই লিমেরিক গুচ্ছের প্রতিটি লেখাই গত ১১/০৯/২০২০ তারিখে লেখা রম্য রচনা "বাঘেল কুকুর" এর মন্তব্য লেখা হয়েছিল।
=================================================================

✍️অভিজিৎ জানা
----------------
এক যে ছিল বাঘেল কুকুর- সরল মতি বিশ্বাসে।
বাঘের মতই চলন বলন আপনা গলির আশপাশে।
খিড়কি দিয়ে খড়ক শুনে
চমকে উঠে প্রমাদ গুনে
পাঁচিল ডিঙে পালায় ভেগে কোনক্রমে ঊর্ধ্বশ্বাসে।        


✍️সঞ্জয় কর্মকার
----------------
মোদের বাঘা এমনি তরাই জেমুন বাঘা খাস।
পদ্ম পুকুর গলির মোড়ে সেথায় করে বাস।
ভিক্ষা করেই তাহার কাটে
চুক চুক চুক ধন্য বটে,
না ঘেউ না একদম না; খাবার পেলেই দাস।


✍️অভিজিৎ জানা
----------------
দাসের জীবন কাটছে ভীষণ আরাম করে তার।
গলির মাথায় সস্তা ভাড়ায় সুখের ই সংসার।  
আতু পুতু চলতে থাকে
ফাই-ফরমাশ খাটতে লাগে  
উঠতে বসতে সেলাম লাগায়; নইলে খবরদার!


✍️সঞ্জয় কর্মকার
----------------
আরাম দাদা ব্যারাম নিছে শজ্জা নিছে বেড।
বাঘার তো দিন আর কাটে না লকডাউনে ফেড।
মানুষ কুথায় খাবার নাই
বলবো কি ভায় যাচ্ছেতাই,
বাঘা এখন শ্রান্ত খিদেয়; জ্বলছে বাতি রেড।


✍️অভিজিৎ জানা
----------------
পৌরসভায় খবর গেলে গৌরপতি দৌড়ে এলে-  
হাপুস নয়ন বিপদ তারণ! প্রতিশ্রুতি দিলেই ঢেলে।    
গুড় বাতাসা চিড়ের নাড়ু-
রেশন দরে সস্তা দারু!
কঁকিয়ে কেঁদে হপ্তা পাঁচেক- প্রতিশ্রুতি নাইকো ফলে!!  


✍️সঞ্জয় কর্মকার
----------------
সব গেছে জল অথৈ তলে জুতার মালা দিবই গলে
মারবো হেথায় দেখবে শ্মশান জাগলো হটাত হরি বলে,
বাঘার ল্যাজ লম্বা দাঁড়া
হটাত করেই হুরুম খাড়া,
চিল চিল্লান দিয়েই দাদা, নাম লিখালো মৃতের দলে।

✍️অভিজিৎ জানা
----------------
মরলে বাঘা খিদার চোটে; শ্মশান যাত্রী আইল ছুটে।
পাঁচশ ট্যাকা জন প্রতি আর সস্তা দারুর হরির লুটে-  
মস্ত্ বাঘা মোটর রথে
চলছে যেন স্বর্গ পথে-
হ্যাংলা ছানা ছাওয়াল গুলা নর্দমাতে খাবার খোঁটে।  
============================