‘স্মৃতিসৌধ’ কবিতার ধারা ও ধরন বাংলা কবিতার আলোচনা সভা থেকে  গত কালই জেনেছি।এর জন্য কবি পলক রহমানকে পূর্ণ কৃতিত্ত দেব। উনারই সৌজন্যে জানলাম। আমি এক জন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। সাহিত্যের জ্ঞান দ্বাদশ শ্রেনী অবধি । তাও পড়েছি সব বিষয়েউত্তীর্ন হতে হবে বলেই।কম বয়েসে অজ্ঞানতা বশতঃ ভাবতাম মাথা মোটা তারাই বাংলা অর্নাস নিয়ে পড়ে। এখন বুঝেছি পঠন পাঠনের মাধ্যমে ইঞ্জিনিয়ার তৈরী করা গেলেও প্রতিষ্ঠান গড়ে সাহিত্যিক, কবি তৈরী করা যায় না। এ উপর ওয়ালার দান।আর ওই রকম উদ্ভট বালখিল্য ভাবনার জন্য আজ সবার কাছে ক্ষমা প্রার্থী।সবার লেখা এত সুন্দর যে আমি একেবারে শিশু।
ঔ রকম সুন্দর ও পাঠ্য  কবিতার ধারা ও ধরন জানার পর মনে হল আমি একবার চেষ্টা করে দেখিনা। তাই এই কবিতাটি একটি ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা ।আমার কাছে একেবারে নতুন।সবাইয়ের মতামতের জন্য প্রকাশ করলাম। যে কোন মন্তব্য/সমালোচনার অনুরোধ রইল।সকালে চা খেতে খেতে দেখ ছিলাম  দূ্রদর্শনে ভগবৎ গীতার আলোচনা চলছে। কবিতার বিষয় বস্তু এই গীতার আলোচনা থেকেই নিয়েছি।
                                  
                                   ক্তঁ
                                 গীতা
                                 বচন
                                
                                 হে
                                বীর
                               অর্জুন
                             ঐ আহ্বান
                           গান্ডীবে  বাণ
                         কর হে যোজন।
                        মিছেই এ বিলাপ,
                      তুমি ত্যাজিও সন্তাপ,
                    এ রণক্ষেত্র ধর্ম ক্ষেত্র,
                   এ জীবন ক্ষন কাল মাত্র।
                  মায়া মোহবদ্ধ,  চিত্ত দূর্বল।
               ওঠো দৃঢ় চিত্তে, মোছ আঁখিজল।


                মোহগ্রস্ত  জীবের  সমূহ  লব্ধিত
             জ্ঞানের আলো নিমেষে নির্বাপিত করে,
          ক্রমে   নিক্ষেপিত  হয়, মহাকাল    গহ্বরে।
       বোধ  বিবেক ও  বিবেচনা  মোহ  দোষে  অন্ধ,
     বিধির  বিধান  ভাঙ্গবে  কে,  কার  এমন  সাধ্য!
    তুমি  শুধু  কর্ম  করে  যাও, ভুলিও  ফলের  মোহ।
   নিত্য  বাচ্য, আত্মা   অবিনশ্বর  অনন্ত  কাল  প্রবাহ।
  সর্বভুক   অগ্নি   দহন   অপারগ।   দেহ  হতে  আত্মাই
  সাপের খোলসসম ত্যাগ করে মিলে  যায় পরমাত্মায়।


জীবগন  মরণশীলজৈবিক শবে, অমৃত  আত্মিক ভাবে।