চাঁদনী সদ্য যুবতী -,
আমারই পাড়ার মেয়ে,
ওকে আমি চিনি।


চাঁদনী খুউব সুন্দরী
তার রূপের আলোয়
প্রেমের জোয়ার আনে।
সকলেই করে কানাকানি।
কেউ বলে, চন্দ্রিমা
তাতে কি আসে যায় ।
সে আমার চন্দ্রমুখী,
কবে থেকে ভালোবেসেছি,
মোর কামনার নারী
দিব্যকামিনী।


কত বার চুপি চুপি বাঁশের বনে,
শান্ত সরোবরে,
দিঘির আয়নায় দেখি চন্দ্রমুখী,
লজ্জাবতী লাজু্কলতা-
লজ্জায় মাঝে মাঝে
মেঘের ঘোমটা নেয় টানি।


বলি, চন্দ্রমুখী
এখনো অনেক বাকী
রয়েছে নিশি,
চলো না মেঘের ভেলার
দোলায় ভাসি।
লজ্জাবতী বলে,
আমিও তো ভাবি
এ রাত ভর,
যাবো নাকো ঘর,
তুমি চেয়ে চেয়ে রও
চাঁদ আননই।


রজনীর অবসানে
ঘরে ফিরে যায়,
একেলা বিরহী আমি
প্রভাত বেলায়।
দিবসের অন্তক্ষনে
ফিরে আসবেই,
যেতে যেতে কথা দেয় প্রিয় চাঁদনী।