কবে যে  কোথায় কখন যেন,বাষ্পের মতো
নির্বাসিত শেষ নিশ্বাস,অজান্তে মৃত বিশ্বাস।
বিশুদ্ধ প্রান বায়ু হীন আজ তবে কোন দুনিয়ায়,
বিপন্ন চরাচর ধুঁকে ধুঁকে বেঁচে রয় অচেতন প্রায়।
টলমল টলমল দুলে দুটি পায়, দিগভ্রান্ত হায়।
দোদুল্য তরণীর সলিল সমাধি মতো ডুবেছে সমাজ।
কে আপন কে যে পর চেনা বড় দায় হল আজ।
চারিদিকে গুমোট জমাট বাঁধা বিষাক্ত বাতাস,
এমন সংকট কালে কি করেই বাঁচে বল পূর্ণ বিশ্বাস ।


বরং বেশ্যার বিছানায় একটুকরো বাসি বিশ্বাস,
বাকী, বিশ্বাসের নামে  দিন রাত চলে তামাসা ও রঙ্গ।
আর  সব মিছে আশ্বাস!
সকলেই ধরে নেয় ওদের কথার কি মান্যতা বাকী।
তবুও বলি, সে তো আমার কাছে সাজিয়ে বলেনা,
আমি সতীসাধ্বী আজই প্রথম তুমি,আজি হবে ভঙ্গ...।
বরং প্রকাশ্যে বলে,আমি বার বনিতা বাধ্য হয়ে
নরকের বধ্য ভূমে নিয়েছি আবাস।


আচানক বহু দিন পরে
মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে,
যখন জানতে পারি
আমারি শোবার ঘরে এক বিছানায়
অবিচ্ছিন্ন রাত আর রাতের ভিতর
অন্ধকারে অদৃশ্য বিশ্বাস।
ধোঁকা দিয়ে ধোঁকা পেয়ে ,
একই ছাদের নীচে করি বাস।
তুমি আমি, গুম হয়ে গুমরিত
সমাজের ভয় আছে তাই।
তবুও সে বলে চলে, বলেই চলে,
তুমি মোর জীবনের প্রথম পুরুষ
তুমিই  প্রথম পেলে পুতঃ নির্যাস।
নির্ভুল  অভিনয় ও দক্ষ অছিলায়
সতত বিশ্বাসী সাথী হারিয়ে বিশ্বাস।


...এক সাথে হেঁটে চলি যেতে হবে তাই।