গোলাপ,
তোমাকে নিয়ে কবিতা কতই তো
লেখা হয়েছে।
না হয় আর একটা লিখলাম।
তুমি রাগ করো না,
এই কবিতাটি আমি তোমাকেই দিলাম।


ও, পড়শীর সৌখিন গুল বাগিয়ায়
দিন দিন রূপ ভরে পূর্ন রূপসী,
আমাকে মুগ্ধ করে সুরভি ছড়ায়।


           ***
আমি জানালার পাশে দাঁড়ালেই,
চোখ পড়ে যায় তোমার উপর,
কি ভাববে তুমি, তাই জানালা বন্ধ
করে দিই।
তবুও রেহাই পেলাম কই,
হাওয়ায় যে ভেসে আসে
চেনা তোমারি গায়ের গন্ধ ।


সকালে বাড়ী থেকে বেরিয়ে
তোমাকে দেখলাম, মন ভরে গেল।
একরাশ তৃপ্তি নিয়ে গন্ধমাখা মন,
দিলে হৃদয় ভরিয়ে ।


বিকালে ফেরার পথে
আবার দেখা,পড়ন্ত বেলায়
দেখি দোল খাও হাওয়ার সাথে।
          ***
সেদিন বাড়ী ফিরেছি একটু বেশী রাতে,
স্নান শেষে হালকা পোষাক পরে একটু
বসতে গিয়ে হঠাৎ চোখাচোখি ওর সাথে।
আমি অবাক বলি, এখানে!
-কেন, তুমি তাই চেয়ে ছিলে মনে মনে
তাই না?
আমি কি বলি,
ভেবে পাই না।
-আসলে আমি ভাবিনি তুমি
আমার বসার ঘরে আসবে!
-আমিও কি জানতাম তুমি
একা একা এত ভালোবাসবে।
-রাত মায়াবিনী,
এ্মন মায়বী রাতের
মায়বী আলোয়,তোমার গায়ের
গোলাপী আভায়, মন কেমন করা
সত্যি ভাবি নি।
      ***
সামনে প্রস্ফুটিতা গোলাপ ছুঁড়ি,
সুগন্ধা,তির তির কম্পিত ভীরু পাঁপড়ি।
গা ছমছম বাইরে ঘন রাত,
ঘরে মায়াবী আলোয় বসে এক সাথ।
রাত বাড়ে গন্ধ আরো বাড়ে,
সির সির তির তির লোহিত কনায়,
কেঁপে ওঠে,
জোরে জোরে কেঁপে ওঠে ভীরু পাঁপড়ি।


রাতের মায়াবী আলোয় তুমি এত সুন্দরী!
আমি দিশেহারা, এক  অন্য অনুভুতি
জোরে বয় উষ্ণ শ্বাস-উষ্ণ প্রশ্বাস
জানি না কখন আমি ঘুমিয়ে পড়ি।