অধুনা স্বাধীনতা দিবসের মানে একটি উৎসব মুখর দিন।সারাদিন মাইক বাজিয়ে দেশত্ববোধক গান।কিছু অমর শহীদের স্মৃতিচারন,মাল্যদান। ব্যাস, অফিস-আদালত, স্কুলকলেজ ছুটি, নিখাদ অবসর।রাতে নাইট ক্লাবে বেলেল্লাপনা। পরদিন
আবার লেং মারামারি,মেয়েদের দিকে অশ্লীল মন্তব্য ছুঁড়ে দেওয়া,চালে বালি,দুধে জল। ধম্মের নামে হানাহানি,কুৎসা,রটনাতে কানাকানি। পেশী শক্তির আস্ফালন,দূর্বল কে দাবিয়ে পদানত করা চলতেই থাকে। ছোট থেকে কানে ভরে দেওয়া হয়েছে, বিদেশি জাতি আমাদের দেশ অন্যায় ভাবে দখল করে শাসনের নামে শোষন চালাচ্ছিল।আমরা অনেক ত্যাগের বিনিময়ে আজ স্বাধীন। কেবল ভৌতিক স্বাধী্নতা মন্ত্রের পাঠ পড়ানো হয়।আত্মিক স্বাধীনতার উপর জোর দেওয়া হয় না। ফলে যা হবার তাই হয়।শত শহীদের আত্ম বলিদান বিফলে যায়।স্বাধীনতা দিবসের মানে একটি উৎসব মুখর দিনে রূপান্তরিত হয় যেখানে স্বাধীনতার উদ্দেশ্য গৌন। লেং মারামারি,মেয়েদের দিকে অশ্লীল মন্তব্য ছুঁড়ে দেওয়া চলতে থাকে দেশত্ববোধক গানের তালে তালে।ঠিকা শ্রমিক, শিশু শ্রমিক,বাঁন্ধুয়া শ্রমিক সবার আগের মতোই দশা।
বিদেশি জাতি শাসনের নামে শোষন চালাবেই স্বাভাবিক। কিন্তু স্বদেশী জাতি ও স্বজাতি, স্ব-জন যখন শাসনের নামে শোষন চালায় তখন স্বাধীন থাকলাম কি করে! তাই আমার উপলব্ধিতে স্বাধীনতাকে সজ্ঞায়িত করতে চাই এই ভাবে।এই কবিতাটি বিশেষ করে দক্ষিন এশীয় দেশ গুলির দেশবাসীগনের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করলাম।


কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ রবীন্দ্র ছন্দের ছায়ায়।



তোমরা সততঃ বল স্বাধীনতা
বন্ধু স্বাধীনতা কারে কয় ,
স্বাধীনতা সেকি আবেগ উচ্ছাস
সবার জীবনে চির মধুমাস
নাকি স্বাধীনতা শুধু অনুভুতি সখা
কেবলই ছলনাময় !!


আগে ভেবেছি কী স্ব–অধীনতায়
কাম ক্রোধ লোভ মোহ ?
সুখ আমারে করে প্রফুল্ল,
দুঃখ কি বড় দুঃসহ ?
যদি হয় তবে কোথা স্ব–অধীনতা,
নিজেকে ঠকানো নয় ?


স্বাধীনতা মানে সমঝোতা সখা
স্বাধীনতা মানে সাম্যবাদের গান
স্বাধীনতা মানে স্ব–শাসন
স্বাধীনতা মানে তোমার আমার
মুক্ত ধারার মন ।


আগে স্ব–অধীনতা তবে স্বাধীনতা
পূর্ণতা তার লয় ।
শাসক শাষিত কেহ নহে ভীত
একাকার জয় পরাজয়।