বৈশাখী তোর সরস ফোঁটা পিয়াস জাগায় মনে
এমন জীবন রসের সুধা ধারা কেমন করে খুঁজে পেলি
কোন সাগরের কোনে।
পিয়াসী মনে টুপ টুপিয়ে
পড়বি ঝরে শিহরে দিয়ে,
তার সোঁদা সোঁদা গন্ধে মাতল্ ভাসিয়ে সুখের বানে।


বৈশাখী তোর কাল রূপী রূপ দেখে সবাই,
তুই যে এমন রসের কলি কেউ কেন না মানে!
শীর্ণ নদীর কূল ভেঙ্গে যায়
বৈশাখী তোর এক ঈশারার,
তুই বসন্ত রাতের গর্ভধারন
সুপ্ত ভ্রুনের অঙ্কুরায়ন,
তবু সবাই বলে বন্ধ্যা মেয়ে,
উদোম বুকের তপ্ত দোদুল ঘর ভাঙ্গানির মনে।

সত্যিতো ,তুই কত লোকের ঘর ভেঙ্গেছিস।
দস্যি মেয়ে, আড়ি !
আসিস যদি, শীতল বাতাস সঙ্গে নিয়ে
আসিস আমার বাড়ী ।
তোরে জড়িয়ে বুকে ধরবো আমি
বিজলি-লতার টানে,
মন বলে তুই চুপি চুপি,
আজকে রাতে আয় বৈশাখী একলা বাতায়নে।