আজও স্বাভিমানের কেতন ওড়ে,
অসম যুদ্ধে প্রান বলিদান,
প্রান দিয়ে রাখে মা’র সম্মান,
এক দিন যারা গেয়েছিলো গান,
স্বাধীনতা,স্বাধিকার
অধিকার অধিকার,
আজ পড়ে রয় ম্লান অনাদরে
ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে
ভগ্ন ম হ ল কালের কাজল
বিস্মৃত কর্ণগড়ে।

প্রজাদের সাথে রাণী শিরোমনী
রণাঙ্গনের বিদ্রোহিনী
সহস্র প্রজার শব দেহ সহ
অমরার পথ গামিনী।
ইতিহাসে বলে ‘চূয়াড় বিদ্রোহ’
‘চূয়াড় নায়িকা’ রাণী।


ধিক্ ইতিহাসকারে,
তাদের শিক্ষা ও সংস্কারে,
মাতৃভূমির আব্রু বাঁচাতে
প্রান দিলো যারা অকাতরে,
‘চূয়াড়’ বলে আখ্যাত তারে!
সম্মান হীন করেছে বাবুরা
আখের বাঁচানো তরে।


ব্রিটিশের যারা পায়ের তলায়
দিন কাটিয়েছ নির্ঝামেলায়
তারা ‘রায়বাহাদু্র’ ‘বাবুমশায়’!


স্বাধীনচেতারা ‘চূয়াড়’ বলে
ইতিহাসে স্থান পায়।



ইতিহাসের স্বাধীনচেতা রাণী শিরোমনী,রাজত্ব করতেন মেদিনীপুরের সংলগ্ন কর্ণগড়ে। সেদিন কর্ণগড়ে গিয়েছিলাম। তার খন্ডহরের খন্ড চিত্র বড়ই মর্ম্মান্তিক । ভগ্ন প্রাসাদ,মন্দির অবহেলায় পড়ে আছে। সংক্ষরনের জন্য কেঊ নেই।রাণী আগ্রাসী ইংরেজের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেছিলেন।ইতিহাসে  ‘চূয়াড় বিদ্রোহ’ বলে খ্যাত। এই চূয়াড় শব্দটির আঞ্চলিক অর্থ পশুর ন্যায় যৌন আচরনকারী ।
চূয়াড় শব্দটি ইংরেজরা নিশ্চয় জানতো না, এদেশীয়দেরই দেওয়া। যারা এই নামে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অবিহিত করেছে তাদের ধিক্কার জানাই।