যেদিকে তাকাই রবির কিরণে আলোকিত উজ্জ্বল,
আবেগে মননে সোহাগে বিরাগে জাগরনে প্রতিপল।
আমার গাঁয়ের রাঙা মাটি প-থে,
বাউলের সাথে একতারা হাতে হেঁটে চলি অবিরল।


বিকশিত ফুল মধু ফাল্গুনে, আম্রমুকুলে অলি গুঞ্জনে
ম-র্ম-রিত ঘন বেনু বনে,বাঁশরীর সুরে দূরে বহু দূরে,
কার আনচান করে মনে!
আকাশের চাঁদ তরনীর মতো
মেঘেদের যত খেয়া ঘাট ছুঁয়ে,ভিড়ায়ে তরনী ধরনীর  এক কোনে।


ভরা বৈশাখে খরা নদী বুকে বয়ে যায় হাঁটু জল,
গরুর গাড়ীতে নববধূ চলে,
পার হয়ে ছোট নদীকল্লোলে।
তীরে ছুটোছুটি জলে লুটোপুটি দামাল ছেলের দল।


গুরু গুরু মেঘ গরজে গগনে,জল ছল ছল সান্ধ্য শাওনে।
বাদর ধারায়  হারায় হৃদয় বাদল হাওয়ার সনে।


পোহায় রজনী শরতের প্রাতে স্বরলিপি শুনি শারদ বীণাতে,
মিতালি পাতায়ে শিউলির সাথে।
ভরা যৌবনা অঞ্জনা, টল টল দুই কুলে।
শুনি আগমনী, ধ্বনিত রবি গীতে,
শরতের  বিগলিত সোনা রোদ, মেখে নিভৃতে।


হিমের পরশ সু-ধীর গোপনে, অঙ্গে অঙ্গে শিহরন মনে,
বিজন বনে খসে পড়ে পাতা কেবা তারে রাখে মনে।


নক্সী কাটা শীতের র্যা পারে মুড়ি দিয়ে যাই পৌষের মেলাতে,
কত প্রশান্তি আম্রকুঞ্জে,
রবি আদর্শে ওঙ্কারিত প্রেমের শান্তিনিকেতনে।


রবির কিরণে সিনান করিব রবির কিরণ মেখে,
শৃঙ্গার করি রবির কিরণে, যাবো অভিসারে গান গেয়ে।
নিশুত রাতে পিয়ার সাথে, যবে দেখা করি নিভৃতে,
শুনি ধীর লয়ে গীত অন্তরে বিরহ বিহ্বল সঙ্গীতে।
রুনু ঝুনু ধবনি বাজে অবিরল,জল নূপূরের বোল অবিকল,
সে যে ঠুমক ঠুমক চলত পিয়ার বাজত চরণ মল।


আমার আবেগে সোহাগে মননে বিরাগে রবিশিখা প্রতিপল।


কবির জন্ম দিনেঃ ২৫ শে বৈশাখ ১৪২২ বঙ্গাব্দ