কন্ঠ স্বরের ছোট্ট কাঁপন ব্যাপ্তি বিশাল ‘মা’
এমন মমতা ও স্নেহের আকর কে তার তুলনা!
সিন্ধু নীরের গভীরতা ফিতেই মাপা যায়,
‘মা’-এর অতল তলের গভীরতা! মাপুনি তার নাই।
আকাশেরও সীমা আছে অসীম আখর ‘মা’,
যা অনুভবেই অনুমেয় বাখান আসে না।
সকল জীবই ‘মা’-এর ভাষী বিরল ভাষা মা,
শুধু জিহ্বার টানে ইতর বিশেষ আসলে তো মা।


মমতা ও স্নেহের ঝাঁপি উজাড় করে আসে,
শূন্য তবু হয়না ঝাঁপি পূর্ণ নিমেষে ।
বিরল দৈব গুনে গুনবতী মূর্তিমতী মা।


বাছার তরে মায়ের হাতে, খড়্গ কৃপান ঢাল,
বাছার তরে জীবনদায়ী স্নেহের মায়াজাল।
তার নিজের জীবন তুচ্ছ করে আগলে ধরে বুকে,
দুখের ভেলায় ডুবু ডুবু বাছায় বাঁচায় সুখে।


আসীম অতল চরাচরে ব্যাপ্তি বিশাল ‘মা’,
এমন দৈব গুনে গুনবতী মূর্তিমতী মা।


আমার তো মনে হয়,পৃথিবীর সকল ভাষা ভাষী ও সকল ধর্মের মানুষ এমন কি পশু পাখিও মাকে মা বলেই ডাকে। মা শুধু মাত্র একটি শব্দ নয় একটি পরিপূর্ণ ও বিরল ভাষা।মা না ডেকে  উপায় নেই কেননা মায়ের যেমন বিকল্প নেই মা শব্দটিরও বিকল্প নেই। লক্ষ্য করলে দেখা যায় মা শব্দটি কেবল মাত্র উচ্চারনের তারম্য বিশেষ।গরু বাছুর হাম্মা হাম্মা ডাকে,ছাগ শিশু ম্যা ম্যা ডাকে, বিড়াল ম্যাও ম্যাও করে।এমনি আমরা কেউ বলি মা,কেউ বলি আম্মা কেঊ,বলি মাদার, কেঊ বলি মাতর...ইত্যাদি।সকল রোগ ব্যাধি, হতাশা,দৈনতার এক মাত্র উপশম মা।


শ্রদ্ধর্ঘ্য মাতৃ দিবসঃ ১০-০৫-২০১৫