রজনীর নীরবতায়,
বা দিবসের উজ্বালায়,
বার্ষিক মেহ্ ফিলে,
বা বিজনের স্তব্ধতায়
তোকে না পাই তো  তাতে কি!
যদি তোর মনে থাকে, আর চাই কি।


চঞ্চল প্রেমে তোর, চোরা দুই চোখ,
তল্লাসে পাঠাগার গলিয়ারে সেগুন সোফায়
দেখতে পাইনে তো তাতে কি,
কলেজ সূচনা-পটে তোর নাম দেখেছি।


ঠোঁটের মদিরতায় মত্ত হয়েছি কবে,
লোকে মাতাল বলে তো বলুক।
পানীয়তে তোর অধর-প্রতিচ্ছবি
পিয়াসী চোখে আমি দেখেছি,এতে কম কি!


কলেজ বেলার দেওয়াল পত্রিকার জন্য একটি কবিতা।(এই কবিতাটি নিয়ে একটি ছোট্ট ঘটনা সবার সাথে শেয়ার করতে চাই আশা করি হালকা ভাবে নেবেন,দেওয়াল পত্রিকাটি বেরনোর পর এক দিন লাইব্রেরিতে বই নিচ্ছি,একটি মেয়ে, সম্ভবত বাংলা বিভাগের অপর একটি মেয়েকে শুনলাম বলছে, ‘ঐ কবিতাটা,ঐ ছেলেটা’। অপর মেয়েটি বলে,ও তাই দেখে তো মনে হয় ভিজে বেড়াল। আমি না শোনার ভান করে বেরিয়ে যাই। বেশ কিছু দিন বাদে কলেজ আসতে আসতে শরতের হঠাৎ  বৃষ্টিতে ভিজে গেছি।
বারান্দায় অনেকেই দাঁড়িয়ে ছিলো ওখানে যেতেই এক বন্ধু বলে, তোকে ভেজা বেড়ালের মতো লাগছে। দেখি ঐ মেয়েটিও দাঁড়িয়ে, সেদিনের কথাটা মনে পড়ে গেল,আমি বললাম হ্যাঁ, অনেকেই তাই বলে। মেয়েটি সলজ্জ হেসে ক্লাস রুমের দিকে হেঁটে গেল, পরে আর কোন দিন দেখা হয়নি।)


তল্লাসে-খুঁজে বেড়াই,মেহ্ ফিল-আনন্দানুষ্ঠান
গলিয়ারে-বারান্দায়,সূচনাপট-নোটীশ বোর্ড