একদিন শ্রাবনের নীলাকাশ কালো মেঘে ছেয়ে যাবে
অবিশ্রান্ত ধারায় বর্ষিত হবে নববৃষ্টি
ভাসিয়ে দিবে তোমার শহর সতেজ করতে প্রকৃতি
তুমি তখন শুয়ে উম নিবে লেপের তলে
চোখ থাকবে ঘুমাচ্ছন্ন
এবং ঘুমপাড়ানির মায়ায় ঘুমিয়ে পরবে একসময়
আর ঘুমটা আসলেই দেখবে
এক ছন্নছাড়া ক্লান্ত পথিক হেটে যাচ্ছে দূরান্তরের পথে
আবছা আলোয় হয়ত মুখটা দেখবে না
তার চলার ভঙ্গিমা বলে দিবে কত যে চেনা।
বৃষ্টির ফোটা তার মাথালে পরে
ভিজে দিচ্ছে ইস্ত্রি করা প্যান্ট-শার্ট
প্যান্টের পকেটে সযত্নে রাখা একটি কবিতা।
যার প্রাপক তুমি হতে পারতে সেই মরা ফাল্গুনে
প্রকৃতিতে নিয়ে আসতে পারতে সতেজতা
এক ভবঘুরে সন্নাসীকে বাঁধতে পারতে প্রেমের ডোরে।
বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে হয়ত তার পিছু যেতে চাবে
ততক্ষণে কেউ একজন তোমার হাতটা ধরে
তার বুকে তোমাকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে নিবে
তুমি আপনা বাধা পরে যাবে হারিয়ে ফেলবে চলার গতি।
পথিক হেটে যাচ্ছে, হেটে যাচ্ছে সামনে, আরও সামনে
একবারও ফিরে চাচ্ছে না তোমার পানে
হয়ত দেখেনি, নয়ত না দেখার ভান করে।
তাকে ডাকতে তুমি আত্মচিৎকার করায় চেষ্টা করতেই
ঘুমটা আচমকা ভেঙ্গে যাবে, চোখের সামনে ভেসে উঠবে
একটা চেনা মুখ, একমুঠো হাসি, আর ভালবাসার গদ্য-পদ্য
এরা কেউ নেই, এরা কেউ নেই, এরা কেউ নেই।