মহা প্রলয়ঙ্করে আদি তিস্তা রূপ নেয় মরা তিস্তার
স্রোত ও পথ হারিয়ে হয়ে যায় একাকী
বুকে জেগে উঠে চর নয় যেন বাস্তুভূমি
দুই তীর গ্রাস করে রাঘববোয়ালেরা, গড়ে তোলে
কর্পোরেট দালানকোঠা, মাঠ-ঘাট, গড় বাধা পুকুর
সব কিছু হয়ে যায় বাপদাদার জমি।


কালের গর্ভে বিলীন হয়; হাজারো নদীর মত
একটি বুড়ি তিস্তা, যার তীরে গড়ে উঠে আদি উলিপুর
প্রজন্ম ভুলে যায় মরা তিস্তার কুলকুল ধ্বনি
বাপ-দাদাদের সাঁতার কাটার গল্পও
জানতেও পারে না তার দাদা গামছা পরে একদিন
ধরেছিল মন ওজনের একটি বাঘাড়।
ভরা বাদলে এপাড় থেকে ওপাড় গেছে সাঁতরিয়ে
কিংবা কলা গাছের ভেলায়
দাদি তার এনে ছিল পানি কলস ভরে অলস দুপুরে
ভেজা গায়। নদীতে স্নান করতে আসত দূরান্তরের সনাতনীরা।
এসব আজ গাঁজাখুরি গল্প।


ইতিহাসের গতি পাল্টে যায়, মরা তিস্তাকে বাঁচাতে
দখলদারদের কড়াল গ্রাসাচ্ছাদন থেকে রক্ষা করতে
এক হাতে আলোর মশাল অন্য হাতে কোদাল নিয়ে
জেগে উঠে একদল অভিযাত্রী; নদী মাতাকে বাঁচাতে
হুংকার ছাড়ে_
"বুড়ি তিস্তা বাঁচাও, উলিপুর বাঁচাও,
উলিপুরবাসী কোদাল ধর, বুড়ি তিস্তা রক্ষা কর"


ক্রমেই ভারি হয় ছোট দলটি
এবার কোথায় পালাবে ভূমিদস্যুর দল?