“আশা; সে তো বুকে বাঁধা ঝড়;
লক্ষ মায়ের বুকে
        স্বপ্ন ঊষা’র।”
স্তব্ধ অবয়ব। যেন মরুপথ।
চলেনা সামনে; মনে হয় বিপদ।
দিগন্তে মুক্তি-রশ্নি- চমক খেলে যায়,
কে পায়? কে ছোঁয়?
কে বা কাঁদায়….! ঐ বিভীষিকাকে,
কে নিবে টেনে বুকে; মুক্তি কে!
সকলের অবদান। কেন তবে পিছুটান?
কেন তবে ভয়? (হোক অনিশ্চিত মরণ)।


“হায়! মনে হয় সবাই বিকলাঙ্গ-
হাত কাঁপে থরো থরো- পুড়ে গেছে অঙ্গ!”


সুখের ছোঁয়ায়-
        মাতাল হয়েছ আজ
        মানেনা হৃদয়!
বলবেনা জানি, কাঁদবেনা মানি।
মুছবেনা কভূ- তোমার গ্লানী।
পিছু পিছু দিবে ধোকা-
“বুঝে নিও, দেখবে পথ; খুবই বাঁকা।”
        নিশ্চিত ভঙ্গুর-
সে পথ করতে জয়,
        সহস্র তরূন দিছে অঙ্কুর।


আগামী সময়- কাঁদাবে তোমায়,
তোমাকে জীবনে- দিবেনা অভয়।
        তরুন হৃদয়।
এখনের এত হাসাহাসি
        হয়ে যাবে বাসি,
ঘুম ঘোরে পাবে চোখে মুখে
আগুনের ফুলকি রাশি।


ভয়? ভয়? ভয় তো নেই তোমাদের,
এত সব বিষে ভরা কোলাহল, সে কিসের?


জীবনের বাসনা, জানি ছাড়তে পারবেনা
কেন তবে মিটিয়ে দাও, অন্যের বাসনা!
জানি, ভর করে আছে হৃদয়ে, ভ্রান্তি-
পাবেনা কখনো, পাবেনা এতটুকু শান্তি।


কিন্তু, এ তরুন হৃদয়; ভয় পায়না।
পথ হারায় না। ধাঁধায় পড়েনা- মৃত্যু বিভীষিকায়।
হয়না সে সবে অন্ধ, মূক, বধির…
তোমরা তো বিকলাঙ্গ। মূর্তি অপশক্তির…..
ভাঙ্গবেনা শৃঙ্খল, চলবেনা সামনে কভূ,
তোমাদের পথচলা বন্ধ হবে; দেখতেছে সবই প্রভূ….


(০৩ মে, ২০০৩ #১২৬)