নীরব রয়েছিলাম!
যখন তোমায় দেখেছিলাম
কলি হয়ে অন্য গাছে ফুটতে !
ফুল তো ফুটেছিলো,
নিমিষে তা ঝরে গেল !
বিরহের এক তট জন্মাতে লাগলো
খুব ধীরে ধীরে
তখন বুঝেছিলাম-
কষ্টগুলো ফুল হয়ে ফুটবে কোনদিন।
অনেক পরে
আরো অনেক পরে-
পেয়েছিলো এ মন একটু শান্তনা,
ভুলেছিল যেন মন বিরহ বেদনা।
তোমার মুখে হাসি দেখে
ঝাপসা চোখে
সে তো কখনো ভুলবোনা,
প্রেম, সে তো হয়ে গেল নীরব সূচনা।
আবার ও স্বপ্ন!
আবারও নতুন স্বপ্ন!
দেখতে লাগলো কষ্ট-ঝরা এ মন
সে তো শুধু তোমাকে নিয়ে,
যখন হাতে হাত রেখে
বলতে মনে মনে,
“বেধেছে বাসা মন তোমার প্রেমে”
বুঝতো তা হৃদয়
আর ভাবতো-
মোর চেয়ে সুখী নাই কেহ এ ধরায়ে।
তবু,
কিছু পিছুটান-
কিছু স্মৃতি ভরা অভিমান
কল্পনায় ভরা তোমার প্রেমের অভিধান-
পড়তাম আমি।
খুঁজে পেতাম স্বপ্নের নীড়
ভালবাসা এ মনে জমাতো ভীড়,
আর, হারিয়ে যেতাম
স্বপ্নের কোলাহলে-
প্রেম এসে হানা দিত নীরবে অধরে
সুখ এসে ধরা দিত মনের গভীরে ।
তখনো
নীরব ছিলাম আমি!
বলিনি তোমাকে ভালবাসি।
বলতে পারিনি তা কোন মতে।
ছিল ভয়,
বলতে যেয়ে যদি হঠাৎ করে
দূরে যেতে হয়!
তাই বলিনি আমি,
বলে হারানোর চেয়ে
মনে মনে ভালবাসা অনেক দামী।
এখন
তোমার শূন্যতা কাঁদায় মোরে।
তবুও নীরব আমি!
তোমাকে পাওয়া জানি হবেনা
কখনো হবেনা!
হয়তো,
আমার এ ভালবাসা করবেনা মুগ্ধ তোমাকে।
যদি ভালবাসতে,
হাত দুটো ধরে কভু বলতে
“প্রিয়তম, ভালবাসি তোমায়”
বলোনি কখনো!
তাই ভয় হয়,
ভুল বুঝে দূরে চলে গেলে কভু
পারবেনা সইতে হৃদয়
তাই আজো,
চোখের জল নীরবে যাই ফেলে
খুঁজি শুধু হৃদয়ে দ্বীপ জ্বেলে।
পালন করে একান্ত নীরবতা
সে তো হায়-
শুধুই নীরবে, শুধুই নীরবে….
(ফেব্রুয়ারী, ২০০৪#২৯৭)