আকাশের তারা বলেছে আমায়
চিনিগো তোমারে
ভাল করে,
চাঁদের জোছনা বলেছে আমায়
দেখিগো তোমায়
আলো-ঝড়ে।
অসহায় দুখে দুখী ভেবে কারা
পথের দু’ধারে
করে বাস,
হৃদয় মাঝারে কোন ছবি শুধু
গুনছে প্রহর
বার মাস।
পৃথিবীর তরে কে বাঁচিতে চায়
“তুমি” বিনা বল
একা ঘরে,
বাঁধতে চাইনা নিজেকে যে আর
পৃথিবীর সাথে
বাহু ডোরে।
এ মন এখনো তোমারেই পুজে’
তোমারেই পুজে
ওগো ধনি,
হৃদয় গভীরে শুনি আমি শুনি
তোমারি ফেরার
পদ্ ধ্বনি।
পরিচিত ছিলে- কি করে গো হলে
চোখের পলকে
ধ্রুব তারা,
বুঝলেনা তুমি তোমাকে ছাড়া তো
হয়ে যাব আমি
দিশে হারা।
“বলনা আমারে ও পরিচিতারে
অপরিচিতা বা
কেন হলে,
পরিচিত থেকে বুকের গহীনে
কেনবা দুঃখকে
জ্বেলে গেলে”।
মোর মন যবে খুশি ছিল ভবে
কেন এলে বল
এ জীবনে,
এসে ছিলে যদি কেন তবে ফের
চলে গেলে বল
সে কাননে।
যদি বা কখনো না এসে আবার
প্রদীপ জ্বালাতে
চাও তুমি,
“জ্বালিয়ে পুড়িয়ে নিঃশেষে তোমার
মন করে দেব
মরুভূমি”!
এই দেখ চেয়ে শুধু প্রেম লাগি
মন মোর দূর
মোহনায়,
পায়না সে সুখ পায়না তো দুখ
পায়না কিছুই
হায়! হায়!
তব সুখে বলি আসলে কখনো
দিওনা দু’চোখে
ভরা জল,
রসনায় নারী চোখে ঝরে বারি
ঝরনার জল
অবিকল।
মিছে এ জীবন মিছে সব আজ
আকাশের মত
পরিস্কার,
সবকিছু মেনে একা বসে আছি
চোখে দেখি শুধু
অন্ধকার!
(নভেম্বর, ২০০৫# ৭৪৭)